নারী লোভী মাদ্রাসা শিক্ষক শহীদুল'র কান্ড ! Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




নারী লোভী মাদ্রাসা শিক্ষক শহীদুল’র কান্ড !

নারী লোভী মাদ্রাসা শিক্ষক শহীদুল’র কান্ড !




স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরকীয়া প্রেমিকাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তির ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মেঘিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আহতসূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে গত ১৮ আগস্ট এবং ২৩ আগস্ট স্থানীয় থানায় নির্যাতনকারী স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পিটিয়ে আহত করার দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ নির্যাতিতা গৃহবধূ। অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম শিবপয়সা কড়াপুর দাখিল মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মাধবপাশা ইউনিয়নন পরিষদের সাবেক মেম্বার।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মেঘিয়া গ্রামের রশিদ শিকদারের বড় ছেলে শহীদুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামের আব্দুল বারেক মুনসীর মেয়ে নিশাত আফরিনের (৩৫) সঙ্গে নয় বছর আগে প্রেম- ভালোবাসা করে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে আসে একটি কন্যা সারিকা (৭) । বিয়ের পর থেকেই তাদের দম্পত্য জীবনে নেমে আসে বিভিন্ন কোলাহল ও দন্ধ। এরই ন্যায় গত ১৮ ও ২৩ আগস্ট ঐ গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

এ বিষয়ে ঐ নির্যাতিত গৃহবধূ নিশাত আফরিন জানান, ২০১০ সালে প্রেম- ভালোবাসার মাধ্যমে শহীদুল ইসলাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ঐ সময় শহীদুল ইসলাম তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে নিশাত আফরিনকে প্রেমের জালে ফেলে বিয়ে করে। নিশাত আফরিন শহিদুলের প্রথম স্ত্রীর কথা যখন জানতে পারে তখন নিশাত অন্ত:সত্তা। নিরুপায় হয়ে শহীদুলের অমানবিক অত্যাচার সহ্য করেও দীর্ঘ সাড়ে আট বছরের বেশি সময় ঘর সংসার করে আসছে। নিশাত কোন প্রতীবাদ করতে পারেনি কারন সে সময় শহীদুল ইসলাম ঐ এলাকার মেম্বার ছিল। প্রথম স্ত্রী রুসিদা বেগমের সঙ্গে না মেলায় নিশাত রাকুদিয়া বাবার বাড়ি থাকতো।
নিশাত আফরিন আরো জানান, শহীদুল ইসলাস নিশাতের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার কথা বলে টাকা পয়সা নিতো। তখন নিশাত একটি প্রজেক্টে চাকরি করতো। নিশাতের পাঁচ বছরের প্রজেক্টের চাকরি শেষ হতে না হতেই নিরুদেশ হয়ে গেল শহীদুল। কিন্তু বর্তমানে শহীদুল কর্মরত মাদ্রাসায় ক্লাস না নিয়েই প্রতি মাসে বেতন তুলে নেয়।

নিশাত জানায়, মাদারীপুরের রুমা নামের এক মেয়েরে সাথে শহীদের পরকিয়া প্রেম চলছে। বরিশালের একটি আবাসিক হোটেলে রুমা দেহ ব্যবসা করতো। সেখান থেকেই শহীদুলের সাথে রুমার পরিচয়। শহীদুলের নেশাই ছিলো মাদক সেবন ও নারীদের সাথে সহবাস করা। এই নেশা খোর নারী লোভী শহীদুলকে কিছু দিন আগে সাতমাইল নামক স্থানে তেলের পাম্প সংলগ্ন একটি অশ্লীল যাত্রা নাচ অনুষ্ঠান থেকে এলাকার লোকজনে ইয়াবা সহ হাতে নাতে ঐ রুমাকে সহ ধরে। বিশ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে সেখান থেকে পার পায় শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল বর্তমানে রুমাকে বিয়ে করে ঢাকা কেরানীগঞ্জ একটি বাসায় ফ্লাট ভাড়া করে থাকে। ঐ বাসায় বসে রুমাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি ব্যবসা করে আসছে।

গত ১৮ আগস্ট নিশাত খবর পায় বরিশাল ঐ শিবপয়সা কড়াপুর দাখিল মহিলা মাদ্রাসায় শহীদুল আসছে। সেখানে নিশাত শহীদুলের মেজ ভাই উজিরপুরের একটি স্কুল শিক্ষক মুহিম ও বাবা রশিদ শিকদারকে নিয়ে ঐ মাদ্রাসায় যায়। সেখানে বসে শহীদুল খিপ্ত হয়ে নিশাতের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় ওই দিনই এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ১৮ তারিখ হতে ২০ তারিখ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে নিশাত চিকিৎসারত ছিলেন। মোটামুটি সুস্থ হয়ে রাকুদিয়া বাবার বাড়ি ফিরে যায়।
সেখান থেকে শহীদুলের ভাই মুহিম ও বাবা রশিদ শিকদার ২৩ আগস্ট নিশাতকে মেঘিয়া শহীদুলের বাড়ি বসে মিমাংসা করে দিবে তাই আসতে বলে। নিশাত তার ভাই শামসুল হক ও বাবা বারেক মুনসি এবং ঐ এলাকার বর্তমান মেম্বার ফিরুজ মোল্লাকে সাথে নিয়ে শহীদুলের বাড়িতে যায়। যাওয়ার সাথে সাথেই নিশাতের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে ঝাপিয়ে পরে মুহিম,রশিদ এবং ভারাটে লাঠিয়াল বাহিনী।

এসময় নিশাতের সাথে থাকা নগদ টাকা ও অলংকার নিয়ে যায়। নিশাতের কানের অলংকার নেয়ার সময় তার বাম কান ছিড়ে যায়। নিশাত বর্তমানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন। এ ঘটনার পর নিশাত আবার এয়ারপোর্ট থানায় শহীদুলকেসহ মুহিম ও রশিদ শিকদারের বিরুদ্ধে লিখিত অবিযোগ দেয়। এতে মুহিম খিপ্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে নিশাতকে অভিযোগ তুলে ফেলার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। নিশাতের উপর হামলার বিষয়টি সত্যতা বলে স্বীকার করে ঐ এলাকার বর্তমান মেম্বার ফিরোজ মোল্লা। এ বিষয়ে শহীদুলের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ০১৭৭২-৮৮…৬, ০১৬২৬-১…০৩ মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার কল করেও মোবাইল খোলা পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঐ রুমার সাথে ০১৭৩৫৯৯…২৭মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে রুমা শহীদুল ইসলাম নামে কাউকে চিনেনা বলে জানান। থানায় দু’বার অভিযোগের পরে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারর্পোট থানার ওসি মুকুল বলেন, ১৮ আগস্ট এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । আমরা ব্যবস্থা নেয়ার আগেই তারা নিজেরাই মিমাংসা করেছে বলে জেনেছিলাম। আবার শুনেছি ২৩ আগস্ট নিশাতকে ফের মারধর হয়েছে। তবে আমরা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD