রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:পটুয়াখালী অঞ্চলে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ও সেনানিবাস তৈরি করে দিচ্ছি। এ এলাকা একসময় অবহেলিত ছিল, সেটার দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। এই অঞ্চল ঘিরে আমরা আমাদের মহাপরিকল্পনা করেছি। আমরা একটা দ্বীপ খুঁজছি। এটির সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা এখানে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করবো।বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পটুয়াখালীতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আবাসন প্রকল্প স্বপ্নের ঠিকানার দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ আর কষ্ট করবে না। তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। আমরা এই এলাকায় এলএনজি টার্মিনাল করে দেব। যাতে এলএনজি শিল্পখাতসহ অন্যান্য খাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগও আমরা নেব।
তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। উন্নয়নের কারণে কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত যেন না হয়, গৃহহীন না হয়ে পড়ে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রেখেছি।
তিনি বলেন, এই এলাকায় ১৩০টি পরিবারের জন্য আমরা ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এই পরিবারগুলোতে ক্ষতিপূরণ দিয়েছি তো বটেই, ঘরও তৈরি করেছি। যাতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন করতে গিয়ে কোনো মানুষ যেন কষ্ট না পায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি বাড়িগুলোতে গিয়েছিলাম। বাড়িগুলো চমৎকার। ১৩০ টা সেমি পাকা বাড়ি। এছাড়া এখানে খেলার মাঠ, দুইটা পুকুর, স্কুল, দোকানঘর, কাঁচাবাজার, ৪৮টি ঘর নলকূপেরও ব্যবস্থা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নির্দেশ দিয়েছি এখানে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করতে। কাজেই স্বপ্নের ঠিকানা নাম দিয়ে যে বাড়িঘর তৈরি করেছি তারা সেখানে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণের পর ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
Leave a Reply