টিনের চালে বড় বড় বৃষ্টির ফোটা পড়লেই স্কুল ছুটি Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
বরিশালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্য কোন দ্বন্দ্ব নেই: চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে বাংলাদেশের আরও অবনতি ৫২৭টি ভারতীয় খাদ্যপণ্যে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের অস্তিত্ব মিলেছে: ইইউ মাদক মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ, আসামী খালাস কাউখালীতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা বৃষ্টির জন্য বরিশালে ইসতিসকার নামাজ আদায় সদর উপজেলার শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চাই : এসএম জাকির তাপপ্রবাহে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ইয়াস’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ মঠবাড়িয়ায় বৃষ্টি কামনা করে ইসতেস্কার নামাজ আদায় বৃষ্টির জন্য ঝালকাঠিতে ইস্তিসকার নামাজ আদায়




টিনের চালে বড় বড় বৃষ্টির ফোটা পড়লেই স্কুল ছুটি

টিনের চালে বড় বড় বৃষ্টির ফোটা পড়লেই স্কুল ছুটি

Lakshmipur-School-rtvonline




অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় পূর্ব করইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয়ের টিনের চালে বড় বড় বৃষ্টির ফোটা পড়লেই কক্ষের ভেতরে ঢুকে পানি। বাধ্য হয়েই ছুটি দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ যেন এক অভিশাপ তাদের জন্য।

বিদ্যালয় আসার সড়কগুলোও কাঁদা মাটিতে ভরপুর। অনেক কষ্ট করে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের, রয়েছে শিক্ষক সংকটও। নেই প্রধান শিক্ষক। ঝুঁকিতে পাঠদান করতে হয়। সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরাও।

এত সমস্যায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পিছিয়ে পড়ছে পড়ালেখায়।

জানা গেছে, গেল পাঁচ বছরে সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাসের রেকর্ড গড়েছে বিদ্যালয়টি। কিন্তু শিক্ষক সংকটের কারণে ভবিষ্যতে পাসের হার নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে একটি পাকা ও দুটি সেমিপাকা ভবন রয়েছে। এরমধ্যে সেমিপাকা ভবন দুটিই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। দেয়ালের পলেস্তরাও খসে পড়ছে। বৃষ্টি এলেই বই খাতা ভিজে যায়। পাঠদানও বন্ধ থাকে।

এছাড়া রোদ বেশী পড়লে গরমে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় শ্রেণিকক্ষে। এছাড়াও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্যহানির শঙ্কা রয়েছে। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য নেই সীমানা প্রাচীর।

জানা গেছে, ১৮৯১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এখানে একটি পাকা ও দুটি ঝুঁকিপূর্ণ সেমিপাকা ভবন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ। এরমধ্যে ২০ শতাংশ জমিতে জলাশয় রয়েছে। মাটি ভরাটের অভাবে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষে চালা থেকে তাদের গায়ে ময়লা পড়ে। বৃষ্টির সময় শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে তাদের বই-খাতা ভিজে যায়। এ কারণে ভালোভাবে পাঠদান সম্ভব হয় না। গরমের সময় খুব কষ্ট হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। সমস্যাগুলোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অবকাঠামো উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই শূন্যপথগুলো পূরণ করা হবে। এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের ৪টি শ্রেণিকক্ষ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। আশাকরি এ অর্থ বছরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD