রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
দোকান চোরের নাম বলতে না পারায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের পূর্ব চরমোন্তাজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রের নাম আল আমিন (১৪)। সে চরমোন্তাজ এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই স্কুল ছাত্রের মা খাদিজা বেগম বাদী একটি মামলা দায়ের করেন। গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে আসামি করে এ মামলাটি করা হয়। আসামিরা হলেন পূর্ব চরমোন্তাজ (৮ নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য আলমগীর মাল, একই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নজরুল মাল ও স্থানীয় মোস্তফা হাওলাদার।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই ইউনিয়নের পূর্ব চরমোন্তাজ গ্রামের মোসলেম মৃধার দোকান চুরি হয়। পরদিন (২১ সেপ্টেম্বর) বাদী খাদিজা বেগমের বাড়ির পশ্চিম পাশে তার ছেলে আল আমিন ব্যক্তিগত কাজে রওনা হয়। এমন সময় আসামিরা লোকজন নিয়ে একত্রিত হয়ে আল আমিনকে আটকে বলে, ‘মোসলেমের দোকন যারা চুরি করছে তুই নাকি তাদেরকে চিনিস? আমাদের কাছে তাদের নাম বল।’ এসময় আল আমিন বলে, ‘আমি আপনাদের কথা কিছুই বুঝি না। আর দোকান চুরির সম্পর্কে কিছুই জানি না।
এ কথা বলার পর আল আমিনকে ধরার জন্য আসামি আলমগীর মাল (ইউপি সদস্য) নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পর আলমগীরসহ অন্য আসামি নজরুল (যুবলীগ নেতা) ও মোস্তফা মিলে আল আমিনকে এলোপাথাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে মারাত্মক জখম করে। বেধড়ক মারধর করলে আল আমিন ডাক-চিৎকার দিলে তার মা (বাদী) ছুঁটে আসে। ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও মারাত্মক মারধর করা হয়। পরে মা-ছেলের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আসামিদের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করেন। তবে বর্তমানে বাদীর পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, স্কুল ছাত্র আল আমিনকে ছাড়াও মোসলেম মৃধার দোকান থেকে টাকা চুরির অপবাদে স্থানীয় সুলতান মিয়ার ছেলে ৮ বছরের শিশু হানিফ হোসেনকেও ইউপি সদস্য আলমগীরের নির্দেশে দিনভর বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। হানিফ পূর্ব চরমোন্তাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। পরপর এই গ্রামে দুই স্কুল ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য আলমগীর মাল বলেন, ‘আল আমিন ও হানিফ এক বুড়ার দোকান চুরি করছিল। পরে ওই বুড়ায় দোকান চুরির ঘটনাটি আমাকে জানালে হানিফ ও আল আমিনকে ডেকে আনাই। আল আমিন না বসে বারবার উঠে যায়। একারণে আল আমিনকে দুই-তিনটা থাপ্পড় দিছি। হানিফকেও থাপ্পর দিছি।’ তবে চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুবই দুঃখজনক।
Leave a Reply