গণপরিবহনে আগুন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ : অভিযোগ রিজভীর Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




গণপরিবহনে আগুন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ : অভিযোগ রিজভীর

গণপরিবহনে আগুন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ : অভিযোগ রিজভীর




ডেস্ক রিপোর্ট : সারা দেশে অগ্নি সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগে করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী কর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে যে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতায় ক্ষমতাসীন অপশক্তি জড়িত। প্রকৃতপক্ষে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা বাসে আগুন দেওয়ার জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র পুলিশ বা র‌্যাবের শত শত পেট্রোল টিম এবং বিজিবির শত শত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বিরোধী দলের সদস্য কোনো প্রকার সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগে কাজে লিপ্ত হবে এই দাবি সর্বত্রই হাস্যকর। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হয়ত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেন তারা নিশ্চিন্তে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে ও রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, তাদের এসব কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণিত হয়েছে, বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে… কীভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বাসে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয় আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী নেতাকর্মীরা। ২০১৪ সালে ছাত্রলীগের তিনজন সদস্যকে বাসে অগ্নিসংযোগের সময় হাতেনাতে আটক করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুইজন ছাত্রলীগ সদস্য ককটেল ও পেট্রোল বোমাসহ আটক হয়েছিল। ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় পেট্রোল বোমাসহ গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর বাধ্য হয়ে পুলিশ দুইজন যুবলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিয়েছিল।

রিজভী বলেন, ২০১৪ সালে বিরোধী দলের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ তার নিজস্ব বিহঙ্গ পরিবহনে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে গণমাধ্যম মারফত জানা যায়। সেখানে আগুনে ১১ জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ২০০৬ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ ট্রেন এবং বাসে আগুন দিয়ে, পরিবহন শ্রমিকদের ওপর হামলা করে মানুষ হত্যা করেছিল। শেরাটনের সামনে গান পাউডার মেরে বাসে আগুন দেওয়াসহ এমন অজস্র দৃষ্টান্ত আছে… যেখানে আওয়ামী লীগ তাদের বিদ্বেষপূর্ণ-বিভাজিত রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সহিংসতাকে ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করে, জনগণের সহায়-সম্বল ধ্বংস করে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেই দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে, মিথ্যা মামলায় ভিন্ন দল ও মতের উপর দমন-নিপীড়ন চালাবার যে বীভৎস রাজনীতি আওয়ামী লীগ লালন করছে… আমরা তা ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাই।’

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৪৭৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিভিন্ন মামলায় ১৭২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে যে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, সেই কর্মসূচিতে দেশের জনগণ, দলের নেতাকর্মী, সমমনা জোট ও দলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়ে অবরোধ কর্মসূচিকে সার্থক করবেন ও সাফল্যমণ্ডিত করবেন। এই অবরোধ কর্মসূচি আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ।

সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বুধবার ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

গত ২৮ অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো টানা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। গত রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ষষ্ঠ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD