শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে বিশ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লির কন্ঠে ধ্বনিত হয়- ‘লাব্বাইক আলাহুম্মা লাব্বাইক’। হজের খুতবায় ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান নতুন খতিব। বলেন ন্যায় পরায়ণতা, ক্ষমা ও ভ্রাতৃত্বের ওপর নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা। খুতবা শেষে জোহর ও আছরের নামাজ একসাথে আদায় করেন হাজিরা। এরপর সুর্যাস্তের আগেই রাত যাপনের জন্য মুজদালিফায় রওনা হন আল্লাহর মেহমানরা।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের প্রশংসা আর মাহাত্ম ঘোষণা করে গুনাহ মাফের আকুতি জানালেন আরাফাহ ময়দানে জড়ো হওয়া বিশ্বের লাখো হাজি।
সোমবার ফজরের নামাজ আদায় শেষে মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন হাজিরা। সেখানে ‘মসজিদে নামিরাহ’ থেকে সারা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য দিক নির্দেশনামূলক খুতবা দেন মসজিদে নববির ইমাম ও খতিব শায়খ ডক্টর হোসাইন বিন আব্দুল আজিজ আল শাইখ।
খুতবায় দ্বীন ইসলামের বিধান অনুযায়ী ন্যায় পরায়ণতা, ধৈর্য, ক্ষমা ও ভ্রাতৃত্বের ওপর নিষ্ঠাবান হওয়ার আহবান জানান খতিব। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে শরিয়ার নিষেধের বিষয়টিও উঠে আসে খুতবায়। খুতবা শেষে জোহর ও আসরের নামাজ একসাথে আদায় করেন মুসল্লি¬রা। এরপর গুনাহ মাফ, বিশ্বশান্তি, ভ্রাতৃত্ব এবং ইসলামের সব আমানত রক্ষার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করা হয় মোনাজাতে।
সুর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থানের পর হাজিরা রওনা হন মুজদালিফায়। সেখানে এক আযানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায়ের পর সারারাত খোলা আকাশের নিচে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেনএ
মঙ্গলবার ফজর নামাজ শেষে, আবারো মিনায় ফিরবেন হাজিরা। ১০ জিলহজ পর্যায়ক্রমে চারটি আহকাম পালন করবেন আল্লাহর মেহমানরা। মিনাকে ডান দিকে রেখে প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। আল্লাহর উদ্দেশে সাধ্যমত পশু কোরবানি করবেন। এরপরই মাথার চুল ফেলে দেবেন। এরপর হাজিরা মক্কায় ফিরে কাবা শরীফ ‘তাওয়াফ’ এবং সাফা ও মারওয়ায় ‘সায়ী’ করে আবারও ফিরে যাবেন মিনায়। ১১ জিলহজ আরো কিছু আহকাম পালন এবং কাবা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে পবিত্র হজের সব আহকাম-আরকান।
এর আগে রেওয়াজ অনুযায়ী জিলহজ মাসের নবম তারিখে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে কাবা শরীফের গিলাফ বদলানো হয়। কাবা শরীফ ও মসজিদে হারামাইনের কাস্টোডিয়ান সৌদি বাদশাহর প্রতিনিধিরা গিলাফ পরিবর্তনে অংশ নেন।
Leave a Reply