শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় চলতি বছর ৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সহযোগী এনজিও যে যৌথ কর্মপরিকল্পনা (জেআরপি) ঘোষণা করেছে, সেখানে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এই অর্থ চাওয়া হয়েছে।
জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) চতুর্থ এই যৌথ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে, যা মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোর প্রচেষ্টা ও সফলতার ভিত্তিতে এ বছর ৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার (৮৭৭ মিলিয়ন) তহবিল গঠনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৮ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের কারণে দুদর্শায় পড়া ৪ লাখ ৪৪ হাজার বাংলাদেশির জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
যৌথ কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, তহবিলের প্রায় ৫৫ শতাংশ প্রয়োজন হবে খাদ্য, আশ্রয়ন, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশনসহ জরুরি সেবা নিশ্চিতে। আর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য প্রায় ২৯ শতাংশ ব্যয় হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি ও পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাকি অর্থ প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে কর্মপরিকল্পনায়।
এর আগে যৌথ কর্মপরিকল্পনায় ২০১৯ সালে ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিল চেয়েছিল জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও সহযোগী এনজিও। এর মধ্যে হাতে পেয়েছিল ৬৫ কোটি ডলার, যা প্রত্যাশার ৭০ শতাংশের মতো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী আগমনের পর থেকেই সংস্থাগুলো জীবন রক্ষাকারী সহায়তা ও সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের দীর্ঘ বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে কাজ করছে। ২০১৯ সালের একটি বড় অর্জন হচ্ছে, ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরত সব রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আনা। এর মাধ্যমে ১২ বছরের বেশি বয়সী প্রতিটি রোহিঙ্গা নিজস্ব পরিচয়পত্র পেয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান এবং ভবিষ্যতে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন- দুই ড়্গেত্রেই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের এই যৌথ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। যতদিন না নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে, ততদিন রোহিঙ্গাদের পাশাপশি বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
Leave a Reply