বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি॥ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ। শ্লোগানে এগিয়ে গেলেও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নদী বেষ্টনী উপকূলীয় অঞ্চল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর আন্ডার কৃষি আবাদী হুমকির পথে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক জনগোষ্ঠী।
সরজমিনেে জানা যায়, সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিয়মনী অনুযায়ী দেশের প্রতিটি জেলা- উপজেলা ও ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে বিসিআইসি ডিলার ও খুচরা ইউরিয়া সার বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদান করলেও, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নিজেদের পছন্দের জায়গায় ইউরিয়া সার বিক্রয় করছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিসিআইসি’র খুচরা সার বিক্রয় প্রতিনিধি মোঃ নূরুল ইসলাম সর্দার।
যার ফলে চর আন্ডার প্রায় কয়েক হাজার স্থানীয় প্রান্তিক কৃষক সময় মতো জমিতে সার দিতে না পেরে কৃষি আবাদী জমি আজ হুমকিতে বলে জানিয়েছেন কৃষক মোঃ আবুল হোসেন মোল্লা, মোঃ মজিবর প্যাদা, আলী আকবর গাজী, মোঃ জয়নাল হোসেন, আমীর আলী, মোঃ ইদ্রিস প্যাদা, মোঃ জসিম উদ্দিন, আবুল কালম সহ প্রায় অর্ধশত কৃষক।
তারা আরো জানায় প্রতি ইরি ও রবি মৌসুমে এক বস্তা সার কিনতে চরআন্ডা থেকে খেয়ায় চরমোন্তাজ বাজারে জেতে হয়, যার ফলে সারাদিন যেমন কেটে যায়, তেমবি কয়েক গুন খরচ হয়ে যায়। একদিকে করোনাভাইরাস, একদিকে বন্যা আরেক দিকে সার আন্তে নানান হয়রানি। যা আমাদের মতো গরীব ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়। কোন কোন সময়ে খেয়ার অভাবে আহারে অর্ধাহারে কেটে জমির উর্বরতার জন্য ইউরিয়া সার সহ অন্যান্ন সার আন্তে হয়।
প্রান্তিক কৃষকদের কাছে স্থানীয় সার বিক্রয় প্রতিনিধির বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা বলে এই চরআন্ডা বাজারে কোনদিনও সার বিক্রয় করার দোকান দেখি নাই। বিগত দিনেও স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া ও কৃষি অফিসারকে অনেকবার জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এখনো চরমোন্তাজ বাজারে সার আন্তে গেলে নূরু মিয়ার দোকান থেকেই সার কিন্তে হয়। অথচ আমরা জানি সরকার নাকি প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে খুচরা সার বিক্রি করার ডিলার দিলেও চরআন্ডায় কোন ডিলার নাই।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খুচরা সার বিক্রয় প্রতিনিধি মোঃ নূরুল ইসলাম সর্দারের কাছে তার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন স্বদউত্তর দিতে না পেরে গণমাধ্যমেকে ম্যানেজ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
চরআন্ডার প্রান্তিক কৃষক জনগোষ্ঠীর দূর্ভোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, এবিষয়ে চরআন্ডার ডিলার নূরুমিয়াকে তাকে বহুদিন ধরে বলে আসলেও তিনি কোন কর্নপাত করছেননা। আজ কাল বলে চরমোন্তাজ স্লুইসগেট বাজারে বসেই তার সার বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এছাড়া এব্যাপারে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি অফিসারকে জানিয়েছি।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নে ইউরিয়া সার বিক্রয়ের অনিয়মের বিষয়ে সিনিয়র কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম ও সদস্য সচিব রাঙ্গাবালী সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি জানান, মোঃ নরু সরদার কে গত ১৮ আগষ্ট ১২.১৮.৭৮৯৭.০৩৯ .৪০.০৩৯.২০/৩৯২ স্মারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সরকারি নিয়মনীতি অনুযায়ী তাকে তার স্থানে গিয়ে প্রান্তিক কৃষকে জন্য সার বিক্রয় করার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এর পরেও যদি তিনি কোন অনিয়ম করেন, তাহলে তার জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।
Leave a Reply