মহিপুর থানার ওসির বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ফুঁসে উঠছে সাধারণ মানুষ Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




মহিপুর থানার ওসির বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ফুঁসে উঠছে সাধারণ মানুষ

মহিপুর থানার ওসির বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ফুঁসে উঠছে সাধারণ মানুষ

মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান’র বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ফুঁসে উঠছে সাধারণ মানুষ




পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান’র বেপরোয়া চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অনিয়ম ও বেআইনী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। মহিপুর থানায় যোগদানের মাত্র ক’মাসের মধ্যেই ওসি মনিরুজ্জামান এখন কোটিপতি।

 

সাধারণ জনতার কাছে তিনি মূর্তিমান আতংক। আর অপরাধ জগতের গড ফাদারদের তিনি বন্ধু। কোন রকম অভিযোগ, মামলা কিংবা আদালতের ওয়ারেন্ট ছাড়াই তিনি নিরপরাধ নারী-পুরুষকে থানার লকআপে আটক রেখে ১০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে ছেড়ে দেন- এরকম বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

 

এমনকি দাবিকৃত টাকা না পেলে আটকৃকতদের গুরুতর অপরাধের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকী প্রদানের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আর এসব নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতিকার পাওয়ার বদলে উল্টো ওসির রোষানলে পড়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

 

 

তবে এনিয়ে জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, দুর্নীতি, অনিয়মের বিষয় তিনি জিরো টলারেন্স। পুলিশের কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

 

 

কুয়াকাটার লতাচাপলি ইউনিয়নের লক্ষীপাড়া গ্রামের মোঃ আবুল কালাম (৪২) বলেন, আমার দু’ভাইয়ের ছেলে জাকির ও হৃদয়’র মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

 

এ নিয়ে একপক্ষ থানায় গেলে কোনরকম তদন্ত ছাড়াই মহিপুর ওসি মনিরুজ্জামানের নির্দেশে এএসআই সাদেক গত ২৩ মে সকালে লক্ষীপাড়া গিয়ে আমাকে ধাওয়া করেন। আমি ভয়ে দৌড় দিলে আমাকে লক্ষ্য করে ইট বা রাবার জাতীয় ভারী কিছু একটা নিক্ষেপ করেন। এতে পায়ের গোড়ালীর উপর পড়ে হাড় ফেটে যায়। ওসি’র নির্দেশে পুলিশ অন্যায়ভাবে আমার উপর এমন অত্যাচার চালায়।

 

 

ধূলাসার ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামের ইব্রাহিম (৫০) বলেন, আমার মেয়ে রেবা’র ভাশুর, ননদের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার ঝগড়া, মারামারি হয়।

 

এনিয়ে ওসি পুলিশ পাঠিয়ে চরচাপলি থেকে আমার মেয়েকে থানায় ধরে আনেন। এরপর প্রায় দুইরাত একদিন থানা হাজতে আটকে রাখার পর অ্যাডভোকেট আনোয়ার সাহেবকে সাথে নিয়ে ওসিকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে রোজার ঈদের আগের দিন (২৩ মে) রাত দেড়টার দিকে তাকে ছাড়িয়ে আনি। এ কথা কাকে বলবো? বললে তো আমি স্থির থাকতে পারবো না।

 

 

সুধিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর ব্যাপারী বলেন, কলাপাড়া থেকে আমার বাড়িতে গত ২৩ মে মেহমান আসলে তাদেরকে বিনা অপরাধে ওসি সাহেব আমার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে ২ ঘন্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। যাদের সকলের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পরে ওসি সাহেবকে টাকা দিয়ে আমার জামাই জাকির তাদেরকে মুক্ত করেন।

 

 

মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের রাসেল (৩৫) বলেন, পক্ষিয়াপাড়া গ্রামের রাখাইন মংবাচু-এর কাছে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা বাবদ আমি ২৫ হাজার টাকা পাওনা হই। গত ২২ মে সমুদয় টাকা দেয়ার কথা থাকলেও মংবাচুর ভাগনে অংজুয়েন ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। এতে আমি অংজুয়েনকে টাকার জন্য চাপ দিলে অংজুয়েন বিষয়টি মহিপুর খানায় অবগত করেন।

 

এরপর মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামানের নির্দেশে এসআই তারেক আমাকে ও অংজুয়েনকে থানায় নিয়ে আসেন। মহিপুর ওসি আমাকে খারাপ মামলায় চালান দিবে বলে হুমকি দিয়ে সারাদিন থানা হাজতে আটকে রাখেন। এরপর ওসিকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে আমাকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। ওসি’র এমন ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিকারে আমি পুলিশের আইজিপি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

 

 

নিজামপুর গ্রামের হান্নান (৪৮) বলেন, আমি আমার রেকর্ডীয় জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে গেলে ওসি সাহেব এস আই তারেককে পাঠিয়ে ভেকু মেশিনের চাবি নিয়ে নেন এবং থানায় ডেকে আনেন। পরে ওসি মনিরুজ্জামান’র কাছে গেলে তিনি বলেন- জমির খাজনা পরিশোধ করে দাখিলা দেখিয়ে জমিতে প্রবেশ করতে হবে। পরে ১০ হাজার টাকা নিয়ে মেশিনের চাবি ফেরত দেন ওসি।

 

 

ইব্রাহিম (৪২) নামের এক ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক বলেন, ১৫/২০ দিন আগে কলাপাড়া পৌরশহরের সদর রোডে মহিপুর ওসি’র পুলিশ পিকআপের পেছনে মোটরসাইকেল ছিল আমার। পুলিশ পিকআপটি আকস্মিকভাবে ব্রেক করার ফলে মোটর সাইকেলটি পিকআপের ব্যাক লাইটের সাথে লাগে। এতে ব্যাক লাইটটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওসি আমার মোটরসাইকেলটি আটকে থানায় নিয়ে যান। পরে ৫/৭ দিন ঘুরিয়ে ব্যাক লাইটের খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলটি ছাড়েন।

 

 

লতাচাপলি ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মিজানুর রহমান খাঁন (৩৮) বলেন, আলীপুর গ্রামের পুত্র সোহেলের ভালবাসার অপরাধে মেয়েপক্ষের মৌখিক অভিযোগে তার পিতা সেলিম মিয়াকে (৪৫) আটক করে থানার লকআপে আটকে রাখেন ওসি। পরবর্তীতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে পরিষদে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ওসি ৭ হাজার টাকা নিয়ে তাকে লকআপ থেকে বের করেন। এছাড়া একই গ্রামের বিবাহিত এক মেয়ের সাথে প্রেমের অপরাধে প্রেমিক বেল্লালকে (২১) থানার লকআপে আটকে রাখেন ওসি। পরে মেয়ের মা থানায় গিয়ে তার জিডি প্রত্যাহার করে নিলেও ওসিকে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে বেল্লালকে লকআপ থেকে বের করতে হয়।

 

 

মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের মাছুমা বেগম (৩৪) জানান, গত ২৫ এপ্রিল সকালে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা তার ডান হাতের কব্জি কুপিয়ে ও বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে নির্যাতন করে। এনিয়ে তিনি মহিপুর থানায় অভিযোগ দিতে যান বেশ ক’দিন। কিন্তু ওসিকে তাঁর দাবিকৃত টাকা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে না পারায় ওসি মামলা নেননি বলে মাছুমার অভিযোগ।

 

 

কলাপাড়ার নীলগঞ্জের কামাল হোসেন (৫২) বলেন, আমি একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু ওসি’র আচার ব্যবহার আমার কাছে ভাল মনে হয় নাই। এসময় একজন এসআই পত্রিকার একটি নিউজের কথা বলেন। এতে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে সংবাদিকদের খুব খারাপ ভাষায় গালি দেন।

 

 

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগ সম্পাদক মো: আনছার উদ্দীন মোল্লা বলেন, ওসি মনিরুজ্জামান কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী থানায় এর আগে ওসি (তদন্ত) হিসেবে ছিলেন। একই উপজেলার মহিপুর থানায় ফেরত আসার কারণে তাঁর সব ফাঁক ফোঁকর, আয়ের উৎস সব জানা। আনছার মোল্লা আরও বলেন, ওসি দু’একদিন আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক বয়োজ্যেষ্ঠ সিনিয়র নেতা লাল মিয়া হাওলাদারকে ফোনে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। অথচ বিএনপি, নব্য আওয়ামী লীগাররা তার কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া সরকার ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ওসি মোটা অংকের টাকা নিয়ে এখানে মাছ ধরা বৈধ করেছেন। আর যার কাছ থেকে তিনি টাকা পাননি তার মাছ ধরা অবৈধ, তাকে ট্রলারসহ আটক করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, মহিপুর থানার অন্তর্গত মহিপুর, ডালবুগঞ্জ, লতাচাপলি, ধূলাসার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাসহ কুয়াকাটা পৌর এলাকায় সহস্রাধিক ভাড়াটে মোটরসাইকেল থেকে মাসোহারা আদায় করছেন ওসি। তার নিজ এলাকা লালমোহনের এক পুলিশ কনেষ্টবল (পিকআপ ড্রাইভার) আরিফ হোসেন (কনেষ্টবল নং ৯৭৫) তাঁর ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ চাহিদামত মাসোহারা না দিলে গাড়ির কাগজ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেটসহ নানা অজুহাতে এক একবার ১০/১৫টি মোটরসাইকেল আটক করেন তিনি।

 

পরে গাড়ি প্রতি ৫-৭ হাজার টাকা আদায় করে ৭/৮ দিন পর গাড়ি ছাড়েন। অনেকের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে থানায় টাকা দিতে হয়েছে। মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরের দোকান মালিক ও ভাড়াটিয়ারা করোনার সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে তাদের দোকানে সংস্কার কাজ শুরু করার পর লোকজন জড়ো করে কাজ করানো যাবে না বলে কাজ বন্ধ করে দেন ওসি। পরে ওসি মনিরুজ্জামান (বিপি৭৮০৪১২১৯০৩) কাজের ধরন অনুযায়ী ২০, ৩০, ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেন। এমনকি নিজের রেকর্ডীয় জমিতে বাড়ির ছাদ ঢালাই দিতে ছাদ প্রতি বেশ ক’জন বাড়ির মালিককে তাকে টাকা দিতে হয়েছে।

 

 

তবে ঢাকায় টেলিভিশনে কর্মরত স্থানীয় এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে শাহজাহান খলিফার ৩০ হাজার টাকা ফেরৎ দেন ওসি। করোনা সংক্রমণ এড়াতে মহিপুরের প্রায় ২০টি সমিল বন্ধ করে দেন ওসি। পরে তাকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে সেব সমিল চালাতে হয়।

 

 

এছাড়া সমুদ্রে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের সরকারি অবরোধ চলাকালীন সময় মাছ ধরা ও প্রক্রিয়াজাত করতে মহিপুর-আলীপুর মৎস্যবন্দরের আড়ত মালিক সমিতি থেকে ওসি ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন বলে জানায় মৎস্যবন্দরের একটি সূত্র। বন্দরের বরফকলগুলোতে বরফ উৎপাদনের জন্য বরফ কল প্রতি তাকে আলাদা টাকা দিতে হয়েছে। ট্রলার মালিকদের কাছ থেকেও সমুদ্রে যেতে তাকে ট্রিপ প্রতি টাকা দিতে হয়েছে। গত ১৩ জুলাই রাত দুইটার দিকে মৎস্যবন্দরের মজনু গাজীর ঘাট থেকে ট্রলারে বরফ নিচ্ছিল ক’টি মাছ ধরা ট্রলার। এসময় ওসি’র নির্দেশে এসআই মনির হোসেন ও এসআই আসাদুজ্জামান ৮টি ট্রলার আটক করেন। পরে ৭টি ট্রলারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের সমুদ্রে যেতে দেয়া হয়। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় মনু খাঁ’র মালিকানাধীন এফবি ফাহিম নামের ট্রলারটি আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 

 

এনিয়ে এসআই মনির হোসেন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন টিমের নেতৃত্বে ছিলেন এসআই তারেক। আর এসআই তারেক বলেন, তিনি কুয়াকাটা থেকে ওসি’র নির্দেশে পরে এসেছেন।

 

 

এদিকে স্থানীয় ট্রলার মালিকদের একটি সূত্র জানায়, অবরোধের আর ৫/৭ দিন আছে। এরমধ্যে বরফ নিয়ে সমুদ্রে যেতে তাকে (ওসিকে) টাকা দেয়া লাগে। বড় সাইজের ট্রলার প্রতি ২০ হাজার ও ছোট সাইজের ট্রলার প্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে তাকে। এসপ্তাহেও মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের ট্রলার মালিক জাকির, তোতা মিয়া, নাসির, রকিব খাঁ, জয়নাল গাজী, শাহজাহান মাঝি, শাহআলম মাঝি, ফুল মিয়া সহ মহিপুর থানার বিভিন্ন এলাকার একাধিক ট্রলার মালিকের কাছ থেকে টাকা নেন তিনি। মহিপুর ওসি’র এসব বেআইনে কর্মকাণ্ডে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন এসআই সাইদুল ইসলাম, এসআই তারেক, এসআই মনির হোসেন, এসআই আসাদুজ্জামান, এএসআই সাদেক, এএসআই মাইনুদ্দিন, এএসআই ইমরান ও পুলিশ কনেষ্টবল (পিক আপ ড্রাইভার) আরিফ হোসেন।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মহিপুর থানা ভবনের দোতলায় বসেন ওসি। সেখানে আইনী সেবা পেতে কারো যাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ ওসি’র কাছে যেতে চাইলে পুলিশ কনেষ্টবলরা আটকে দেন তাকে। এরপর কী ধরনের অভিযোগ- জিডি, মামলা না কাউকে শায়েস্তা করতে হবে সে বিষয়ে কথা বলতে হয় তাঁর নির্দিষ্ট করা ক’জনের সাথে। বনিবনা হলে সাক্ষাত লাভের সুযোগ হয় নতুবা বাড়ি ফিরে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।

 

 

এছাড়া মহিপুর থানার অন্তর্গত এলাকায় ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় চালান সমুদ্র পথে এসে পাচারকালে র‌্যাব ও কোষ্ট গার্ডের হাতে আটক হলেও মহিপুর থানা পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই। এমনকি পেশাদার মাদকের এজেন্ট ও গডফাদাররা এতদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে তারা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন বলে জানায় সূত্রটি।

 

 

স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের অভিযোগ, মহিপুর থানায় মো: মনিরুজ্জামান গত ২ মার্চ ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ওসি’র সরকারি নাম্বারে ফোন দিলে সহসা তিনি ফোন ধরেন না। সবসময় তথ্য প্রদানে গড়িমসি করেন। এমনকি সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণটুকু তার কাছ থেকে পাওয়া যায় না।

 

 

মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাঁদাবাজির কোন বিষয়ের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। প্রয়োজনে তদন্ত হতে পারে।

 

 

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো: মইনুল হাসান বলেন, দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি। পুলিশ বিভাগের কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই।সুত্র,মানবকন্ঠ

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD