রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে: আমাদের মাথা গোঁজার ঠিকানা ছিলোনা,ছিলোনা নিজস্ব বসতবাড়ি। দুঃচিন্তায় কেটে গেছে জীবনের অনেক গুলো বছর। ছেলে-মেয়ে নিয়ে চিন্তাহীন আবাসস্থলে বসবাস করা মনে হয় তাদের কপালে নেই। এমনটা ভেবে যাযাবর জীবনকেই বেঁছে নিতে চেয়েছিলো ভূমিহীন ছিন্নমূল অনেক পরিবার। তাদের মধ্য থেকে বাদশা মীর (৭২),ছালাম মিস্ত্রী (৭০),নুরইসলাম (৭৫),জামিলা খাতুন (৬০) ও শহরবানু (৬৫) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,২০০৯ ও ১০ সালে তাদের মতো উপজেলার ১২০টি ভূমিহীন ছিন্নমূল পরিবারের মধ্যে ১২টি ব্রাকে বিভিক্ত ১২০টি ঘর সরকার তাদের দেয়। জীবনের প্রায় অন্তিমলগ্নে এসে স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজেপেয়ে তাদের ওই সময় বাধভাঙা আনন্দ হয়েছিলো মনের ভিতরে। তারপর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালোই কাটতেছিলো তাদের দিনগুলো। তবে ঘরের বয়স প্রায় ১০ বছর হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে বৃষ্টি এলেই জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়া টিন দিয়ে পানি ঘরের মধ্যে গড়িয়ে পরেছে।
সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই চিত্র দেখাগেছে ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের। বরিশারের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি গ্রামের সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প’র প্রায় ১২০টি ঘরের এখনকার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। প্রায় প্রতিটি ঘরের টিনের চালার নিচে পলিথিন দিয়ে বৃষ্টির পানি পরা রোধ করার ব্যবস্থ্যা করা হয়েছে। আর ওই আশ্রয়ন প্রকল্পে যারা থাকেন তাদের মধ্যে সবাই শ্রমিক। তাদের প্রতিদিনের যে আয় তা দিয়ে সংসার চালাতে গিয়েই নুন আনতে-পানতা ফুরায় অবস্থা। সরকার থেকে পাওয়া নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাই যে তারা সেরে নিবেন তেমন অর্থ তাদের কাছে নেই। সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফাতিমা খাতুন জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষগুলো বর্তমানে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। বৃষ্টি এলে তাদের আর দূর্ভোগেরসীমা থাকে না। তিনিসহ আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এই ১২০টি পরিবারের স্বপ্নের ঠিকানার সংস্কার করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
Leave a Reply