রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:বরিশালের বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের নামে টালবাহান করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে। তিনি উপাধ্যক্ষ নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য এক প্রার্থীকে উপাধ্যক্ষ করতে ক্ষমতার প্রযোগ করছে। বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটিতে শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার চেস্টা চালাচ্ছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপাধ্যক্ষ মোঃ মকবুল হোসেনের চাকুরির সময়সীমা উত্তীর্ণ হলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। নিয়মানুযায়ী শূণ্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গত ৮ জুন সরকারি বিএম কলেজে স্থানীয় সংসদ সদস্য গর্ভাণিং বডির সভাপতি ও নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মোট ৫ জন নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধির মধ্যে ছিলেন গর্ভণিং বডির প্রতিনিধি বাবুগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড.মোঃ শাহজাহান মিয়া, মাউশি প্রতিনিধি বিএম কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুর রহমান সিকদার, বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব আ ক ম মিজানুর রহমান। তাদের উপস্থিতিতে ওই লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মোট ১৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৯ জন আবেদনকারী অংশগ্রহণ করেন।
কলেজের গর্ভাণিং বডির অন্যতম সদস্য মোস্তফা কামাল চিশতী ও মাসুদ আহম্মেদসহ একাধিক সদস্য জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ঢাকা নটরডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কল্যানে অনার্স ও মাষ্টার্স সম্পন্ন করা শ্যামল চন্দ্র মন্ডল সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। যাহা নিয়োগ বোর্ডের সকলের সমন্বয়ে মেধা যাচাই পরবর্তী ফলাফল প্রদান করা হয়। যেখানে নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তার পরেও সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত আবেদনকারীকে নিয়োগ দিতে টালবাহানা করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গর্ভাণিং বডির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ টিপু সুলতান তার দলীয় প্রার্থী ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেনকে ওই শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গর্ভণিং বডির সভা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। ঔ সূত্রটি আরো নিশ্চিত করেছেন এ নিয়ে গর্ভণিং বডির তিনটি সভা অমিমাংশিত ভাবে সম্পন্ন হয়। আর এতে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সংসদ সদস্যের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান প্রতিষ্ঠানটির গর্ভণিং বডির সংখ্যাগড়িষ্ঠ সদসবৃন্দ। একাধীকবার সভায় বসেও কোন লাভ হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় সৃষ্ঠ সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার বিকেল ৪ টায় কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে দীর্ঘ সময়ের আলোচনা কোন সমাধান ছাড়া বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনাকর পরিবেশের মধ্যদিয়ে মূলতবি ঘোষনা করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, এমপি টিপুর প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে সুবিধা গ্রহন করে অধ্যাপক গোলাম হোসেন। বিশেষ করে উপজেলা দপ্তরী নিয়োগ কমিটির সদস্য করা হয়েছে গোলাম হোসেনকে। আর এই নিয়োগ বানিজ্য, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে নানা অনিয়োম করে সুবিধা গ্রহন করে এই গোলাম হোসেন।
এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভণিং বডির সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ টিপু সুলতান বলেন, ‘মিটিং এ কোন সমস্যা হয়নি। উল্টো সংবাদ কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃস্টি করছে।
Leave a Reply