রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
বানারপাড়া প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় স্বাধীনতার পরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন গুলোতে “বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি (পূর্বের পিরোজপুর-২) ও উজিরপুর-বানারীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত বর্তমানে বরিশাল-২ সংসদীয় আসনে যুদ্ধাপরাধে যুক্ত কোন নেতা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি। বরং তারা এবং তাদের পরিবার মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করেছেন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী মতবিনিময় সভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বানারীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় এমনই মন্তব্য করেন বানারীপাড়া উপজেলার ৭১’র বীর সেনানীরা।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম বলেন মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের মাথার তাজ। বঙ্গবন্ধুর আহবান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ,পতাকা এবং স্বাধীন মানচিত্র পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে তাঁর পাশে থেকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনারবাংলা বির্নিমাণে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রণী ভূমিকা পালণ করতে হবে আপনাদের।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার মীর সাইদুর রহমান শাহজাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক। বিশেষ আলোচক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা,মুক্তিযুদ্ধকালীণ বেজ কমান্ডার বেনী লাল দাস গুপ্ত বেণু,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তরুনেন্দ্র নারায়ণ ঘোষ,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু,উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ওয়াহেদুজ্জামান দুলাল ও বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন।
এছাড়াও বক্তৃতা করেন মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ সরদার,শাহ আলম,জগন্নাথ,রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা,ইউপি চেয়ারম্যান আ. জলিল ঘরামী, খিজির সরদার,জিয়াউল হক মিন্টু,আ,মন্নান মৃধা,ডা.হরেন রায়,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন স্বাধীনতার পরে বানারীপাড়ায় যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা কেউ যুদ্ধাপরাধ কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সবাই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ছিলেন। বানারীপাড়ার উন্নয়নে তাদের অবদান অপরিসীম। এসময় মুক্তিযোদ্ধারা দাবী করেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মতবিনিময় সভার রেজুলেশনে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি দলীয় সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালের ভূমিকা নিয়ে যে মন্তব্য লেখা হয়েছে তা তাদের বক্তব্য নয়। ওই রেজুলেশন প্রতারনামূলকভাবে তৈরী করা হয়েছে। এ জন্য তারা মুক্তিযোদ্ধা কাজী হায়দার আলীকে দায়ি করে তাকে বানারীপাড়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এছাড়া তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব মুক্তিযোদ্ধা বোরকা পড়ে বানারীপাড়া বন্দর বাজার,ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও লুটপাট করে মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্কিত করেছেন শিগগিরি তাদের তালিকা প্রনয়ন করা সহ তিরস্কার করেন।
Leave a Reply