সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে।
বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান আগামীকাল দুপুর নাগাদ যেকোনো সময় এ রায় ঘোষণা করবেন।
সারা দেশের কিশোর গ্যাং বা কিশোর অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নিহত রিফাতের পরিবারসহ বরগুনার সচেতন মহল।
অপর দিকে আসামিপক্ষের প্রত্যাশা ন্যায়বিচারের। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত। ৭৪ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের পর মোট ৬৩ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৪ অক্টোবর বরগুনা শিশু আদালত এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন। মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে সাত আসামি।
এ রায়কে ঘিরে নিহত রিফাত শরীফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ তাঁর প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের ক্ষেত্রে যে দৃষ্টান্তমূলক রায় দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এবারের রায়েও প্রকৃত অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে এবং নির্দোষ যারা রয়েছে তারা খালাস পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘এ মামলায় মোট ৭৫ জন সাক্ষির মধ্যে ৭৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি, তাতে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কিশোর গ্যাং বন্ড বাহিনী নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত শরীফ। পরে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামি এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
Leave a Reply