মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বিয়ে বাড়িতে বরের হাত ধোয়ার সম্মানি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বর ও নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার সাহাপুর এলাকার কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন বর।আহতরা হলেন- বর মো. মোরশেদুল আলম মুসা (২৮), বরের ভাই মো. ফারুক (৩৬), বোন আমেনা আক্তার (২৬) ও ফেরদৌসী (২৪), ভগ্নিপতি মো. হাছান (২৯), বরযাত্রী রুবি আক্তার (৩০), মহি উদ্দিন (৪০) ও গাড়িচালক সুমনসহ ১০ জন।
বর মোরশেদুল পৌরশহরের বোর্ড স্কুল এলাকায় আবদুল মুনাফের ছেলে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস পূর্বে পারিবারিকভাবেই মো. মোরশেদুল আলমের সঙ্গে পার্শবর্তী সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে তানিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। পরে আজ (শুক্রবার) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। দুপুরে কনের বাবার বাড়িতে বরের হাত ধুয়ে দিয়ে কনেপক্ষের কয়েকজন মেয়ে সম্মানি দাবি করে। পরে তাদের ৫০০ টাকা সম্মানি দেয় বরপক্ষ। চাহিদামতো সম্মানির টাকা না পাওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে কনেপক্ষের লোকজন।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কনের মামা তোফায়েল, মামাতো ভাই ইসমাইল ও শরীফসহ কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে বরের ওপর হামলা চালায়। মারধর করে বরের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিড়ে ফেলে তারা। এ সময় বাধা দিতে এলে বরের ভাই-বোন ও বরযাত্রীসহ অন্তত ১০ জনকে মারধর করা হয়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিয়ে বাড়িতে মারামারির সময় বরপক্ষের লোকজনের দুইটি স্মার্টফোন, নগদ ১২ হাজার টাকা ও দুই জোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়।
বরের বড় ভাই আহত ফারুক বলেন, দফায় দফায় কনেপক্ষের লোকজন টাকা দাবি করেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দেওয়ার পরও আমাদের ওপর হামলা করা হয়ে। তাই তিনি মনে করেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান বলেন, বিয়ে বাড়িতে মারামারির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আটক করা হবে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।
Leave a Reply