সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মিশনে যেতে যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশ সদস্য স্বামী রুহুল আমিন হাওলাদারকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন উজিরপুর উপজেলার কাজিরা এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে নায়েক পদে কর্মরত। তার ব্যাচ নং ১৪২৮।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল রুহুল আমিন উপজেলার হস্তিশুন্ড এলাকার সেলিনা বেগমকে বিয়ে করেন। সংসার জীবনে তাদের ৮ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। দীর্ঘ ৮ বছর সংসার করার এক পর্যায়ে রুহুল আমিন ছুটিতে বাড়ি এসে স্ত্রী সেলিনা বেগমের কাছে মিশনে যাবার কথা বলে ২ লাখ টাকা যৌতুক চায়।
সেলিনা বেগম বাবার বাড়ি থেকে তাকে ১ লাখ টাকা এনে দেয়। ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর রুহুল আমিন ছুটিতে এসে স্ত্রী ও ছেলে ছায়েম মাহামুদকে বাকি টাকা না দেয়ায় শশুড়বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া ২০১৫ সালের ২২ মার্চ রুহুল আমিন ছুটিতে নিজ বাড়িতে আসে। ২৪ মার্চ বিকেলে সে স্ত্রীর কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক চায়। টাকা না দিলে সে স্ত্রী ও ছেলেকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
স্ত্রী সেলিনা বেগম টাকা দিতে অপারগতা জানালে রুহুল আমিন তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। সেলিনা বেগমের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ইউনিটে ও পরে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন সেলিনা বেগম। একই বছর ২৪ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুর রহমান একমাত্র রুহুল আমিনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। ট্রাইব্যুনাল ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।
Leave a Reply