বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ এক সময় ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এ এস এম জুলফিকার হায়দার। সেই তথ্য গোপন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। পরে বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি হচ্ছেন- এ এস এম জুলফিকার হায়দার। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ইউনিয়নের সদস্য।

 

 

শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ইউপির ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত (মেম্বর) সদস্য মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার। তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নিয়ে জুলফিকার নির্বাচনে বিজয়ী হন। তার পর তিনি জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে শক্তিশালী করার কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে তৃণমূল মানুষের জন্য সরকারের দেওয়া সকল সাহায্য সহযোগিতা বঞ্চিত হয়েছে সাধারণ মানুষ।

 

 

ইউপি সদস্য আরো অভিযোগ করে বলেন, সরকারি গভীর নলকূপ নিতে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে নলকূপ মেলে না। গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দ ঘর নেওয়ার জন্য নগদ টাকা দিতে হয় তাকে। ঘরের মালামাল গোপনে বিক্রি করার নজির রয়েছে। ভিজিএফ ও ভিজিডির চাল আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান জুলফিকার। বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের ভাতার কার্ড টাকার বিনিময়ে নিতে হয়েছে। চেয়ারম্যান জুলফিকারের এসব কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

 

 

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে প্রতি মাসে সদস্যদের নিয়ে একটি সভা করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। গত ৫ বছরে একটি সভাও তিনি করেননি।

 

 

এছাড়া গোপনে কতিপয় সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো রেজুলেশন বানিয়ে পরিষদকে দুর্নীতির আতুড় ঘর বানিয়েছে। ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নির্বাচিত সদস্যদের সঠিকভাবে বরাদ্দ বন্টন করেনি। ইউনিয়নে নির্বাচিত ইউপি নারী সদস্যদের জন্য প্রতি মাসের সম্মানী ৪ হাজার ৪০০ টাকা, যা গত ৫ বছরে একটি টাকাও দেননি চেয়ারম্যান।
সকল দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থার অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

 

 

এমনকি ২০২০ সালে তিনি (ইউপি সদস্য) সহ কয়েকজন নারী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে সমন জারী করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD