রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
আমতলী সংবাদদাতা : বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার সাক্ষী দুই সহোদর কাদের সরদার (৪০) ও জাহাঙ্গির সরদারকে (৩৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে মামলার আসামিরা।আহত দুই সহোদরকে স্বজনরা উদ্ধার বুধবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকালে।
জানা গেছে, উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূকে গত বছর ২৯ অক্টোবর দুই সন্তানের জনক মাহবুব ম্যালকার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে মাহবুব ম্যালকার ও রিয়াজ ম্যালকারের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিনই মাহবুবকে গ্রেপ্তার করে।
ওই মামলায় মাহবুব ৬ মাস জেলহাজতে ছিল। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর পুলিশ এ মামলায় মাহবুবকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আগামী ১২ জুন বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্যর দিন ধার্য্য রয়েছে। গত ২০ দিন পূর্বে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আসেন মাহবুব। জামিনে এসেই ওই মামলার সাক্ষী জাহাঙ্গির সরদার, কাদের সরদার ও মাঈনুদ্দিন সরদারকে তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দানে বিরত থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
কিন্তু তারা রাজি না হওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহবুব ম্যালকার ও তার তিন সহোদর রিয়াজ ম্যালকার, আতাউল্লাহ ম্যালকার ও শহীদ ম্যালকার বুধবার বিকালে কাদের সরদার ও তার ভাই জাহাঙ্গির সরদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পা, হাত, পেটে গুরুতর জখম করে।
দ্রুত স্বজনরা দুই সহোদরকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সংঙ্কটজনক অবস্থায় তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, আহত কাদের সরদারের ডান পায়ে, রানে ও পেটে ও জাহাঙ্গিরের ডান হাতসহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
আহত জাহাঙ্গির সরদার বলেন, আদালতে সাক্ষ্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল তারা। আমরা ওর কথার রাজি না হওয়াতে আমাকে এবং আমার বড় ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
ধর্ষণ মামলার বাদী ওই গৃবহধূ বলেন, আমার মামলায় যাতে আমার সাক্ষী কাদের সরদার, জাহাঙ্গির সরদার ও মাইনুদ্দিন সরদার আদালতে সাক্ষী দিতে যেতে না পারে সেই জন্যই মাহবুব ম্যালকার ও তার তিন সহোদর তাদের কুপিয়ে জখম করেছে। মাহবুব ম্যালকার আমাকেও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছি না।আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযোগ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply