শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক// বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের কাকাচিড়া-ডৌয়াতলা সড়কের দুই পাশের ছয়টি জীবিত গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার বিকেলে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বুধবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কাছে রাস্তার পাশের ছয়টি মূল্যবান গাছ কেটে নেন। এর আগেও তিনি ওই সড়কের মূল্যবান গাছ টেন্ডার ছাড়াই নিজ ক্ষমতায় কেটে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে- ১৯৯২ সালে ডানিডার অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ বামনা উপজেলায় সকল ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় সামাজিক বনায়নের আওতায় সড়ক ও মহাসড়কে বিভিন্ন প্রজাতির বনজবৃক্ষ রোপন করে। ডৌয়াতলা-কাকচিড়া সড়কেও কেয়ার এই বনায়ন করে।
জানা গেছে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো গাছ কাটতে হলে প্রথমে পরিষদে রেজ্যুলেশন করে টেন্ডারের আহবানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা গাছগুলো বিক্রি করার জন্য টেন্ডার আহবান করেন। সবচেয়ে বেশী দরদাতার কাছে গাছগুলো বিক্রি করা হয়।
তবে এই গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদ রোপন করে। পরিষদের এক সভায় রেজ্যুলেশন করে ইউনিয়ন পরিষদের আসবাবপত্র তৈরির প্রয়োজনে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে টেন্ডার ছাড়া কেন গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে তিনি জানান আসবাবপত্র তৈরির জন্য গাছের প্রয়োজন হলে তা রেজ্যুলেশন করে কাটা যায় ।
এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুর রহমান আকন জানান, এই সড়কে বন বিভাগের কোনো গাছ নেই। এই গাছের প্রতি তাদের কোনো দাবী নাই। এ গাছ ইউনিয়ন পরিষদ রোপন করেছে।
বরগুনা জেলা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রফিক হাসান বলেন, কোনো প্রকারেই ইউনিয়ন পরিষদ শুধু রেজ্যুলেশন করে গাছ কাটতে পারে না। গাছ কাটতে হলে ইউএনও’র অনুমতি নিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে কাটতে হবে।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার বলেন, টেন্ডার ছাড়া কোনো ইউনিয়ন পরিষদ গাছ কাটতে পারে না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply