মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সোমবার (০১ জুলাই) চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরকালে তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিবেন।বিকাল ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৭২০ বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীনের উদ্দেশে রওনা হবেন। দেশটির স্থানীয় সময় মধ্যরাতে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের ডালিয়ান ঝোউশুইঝি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা। সেখানে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংগ্রি-লা হোটেলে বিশ্রাম নেবেন শেখ হাসিনা।
সফরকালে বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং ও প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তার এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পাবে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে (তাদের প্রত্যাবাসনে) বেইজিং একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সবাই আশা করছে। এদিকে সফরকালে বাংলাদেশ এবং চীন অর্থনৈতিক, বিদ্যুত্, তথ্য প্রযুক্তি এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে জানা গেছে।আজ চীনের দালিয়ানে তিন দিনব্যাপী ‘ডব্লিউইএফ অ্যানুয়েল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’ শুরু হবে। যা ডব্লিউইএফ সামার দাভোস নামেও পরিচিত। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘লিডারশিপ ৪.০- সাকসিডিং ইন এ নিউ এরা অব গ্লোবালাইজেশন।’
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি ১৭২০) আজ বিকালে দালিয়ানের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। ফ্লাইটটি ২ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১২টা ২৫ মিনিটে লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানের দালিয়ান ঝৌশুজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠেয় ডব্লিউইএফ সামার দাভোস সম্মেলনের অধিবেশনে যোগ দিবেন।শেখ হাসিনা দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াবের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন এবং বিকালে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।
আগামী ৩ জুলাই বিশেষ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে দালিয়ান ত্যাগ করবেন। বিকালে তিনি বেইজিংয়ের লিজেনডাল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দিবেন। ৪ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন এবং ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপলে’ বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ও ভোজসভায় অংশ নিবেন।
একই দিন বিকালে শেখ হাসিনার সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিজনেস গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নিবেন। ৫ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রীর চাইনিজ থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। বিকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় বৈঠকে মিলিত হবেন এবং পরে ভোজ সভায় অংশ নেবেন। চীন সফর শেষে আগামী ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।প্রসঙ্গত, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম’য়ের অ্যানুয়াল মিটিংয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার ৮শর বেশি প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বিশ্বের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও কারিগরি সংকটের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাওয়ানো যায় তার একটি নতুন কৌশলগত উপায় সম্পর্কে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করবেন।
Leave a Reply