শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
বরগুনার তালতলীতে জেলেদের সরকারী খাদ্য সহায়তার বিশেষ ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলেদের জনপ্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্ধ থাকলেও দেয়া হয়েছে ১৬ কেজি ৫০০ গ্রাম চাল। এদিকে জেলে কার্ড থাকা সত্তেও চাল না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করায় জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসার বাদশা তালুকদার তার ইউনিয়নের ৫০৬ জন জেলেদের মধ্যে সরকারী খাদ্য সহায়তার বিশেষ (ভিজিএফ) বরাদ্ধের চাল শুক্রবার বিকেলে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। তবে জেলেদের ২০ কেজি চালের পরিবর্তে দেয়া হয় ১৬ কেজি ৫০০ গ্রাম। এতে চাল কম দিয়ে প্রায় ২টন চাল আত্মসাৎ করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা মিলে নিকটতম আত্মীয়-স্বজনকে চাল প্রদান করেন।
এ সময় দেখা গেছে অনেকে জেলে কার্ড নিয়ে চাল নিতে এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ি ফিরে যান।
ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাল নিতে আসা মোঃ আল আমিন, নুরুল ইসলাম, মিজানুর, হেমায়েত, মুছা শিকদার, মাখমসহ আরও অনেকে বলেন, আমাদের তিন জনকে ৫০ কেজির এক বস্তা চাল দিয়েছে। বাকী চাল তারা রেখে দিয়েছে। এতে আমরা এক এক জনে আনুমানিক ১৬ কেজি ৫০০গ্রাম চাল পাব।অপরদিকে জেলেকার্ড নিয়ে চাল নিতে এসে চাল না পেয়ে সহিদ, মিলন, মালেক, খোকনসহ আরও অনেকে বলেন, মৃত ব্যাক্তির নামে চাল দেয়া হয়েছে, যারা কখনও জেলে পেশায় ছিলোনা তারাও চাল পেল, কিন্তু আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও চাল পেলাম না।
চাল বিতরণের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিপন মন্ডল বলেন, চাল বিতরণকালে আমার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে অবহিত না করেই চাল বিতরণ করেছেন।শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসার বাদশা তালুকদারের কাছে একাধিকবার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই, তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন। চাল কম দেয়ার বিষয়টির প্রমান পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply