সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা:উপকূলীয় এলাকায় টানা তিনদিন ধরে বয়ে যাওয়া লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে গলাচিপার ৩শ হেক্টর জমির আলু ও ৭ হাজার ৬শ হেক্টর জমির তরমুজ ক্ষেত। ফলে এসব ক্ষেতের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।তবে তলিয়ে যাওয়ার পরেও আশা ছাড়েনি কৃষকরা। ফসল বাঁচিয়ে রাখতে ক্ষেত থেকে পানি অপসারণ করার আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রাখছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিতে আলু ও তরমুজের গড়ে ১০ থেকে ১৫ভাগ ক্ষতি হতে পারে। কৃষকরা যদি এখনও ঠিকমতো ক্ষেতের পরিচর্যা করতে পাওে তবে মোটামুটিভাবে লোকসান পুষিয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল আটশ হেক্টর কিন্তু আলু চাষ হয়েছে মাত্র তিনশ হেক্টর জমিতে। সাধারণ কৃষকরা এর আগে পর পর তিন বছর ধরে অতিবৃষ্টি ও পোকার আক্রমণে লোকসান দিয়ে আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কৃষকরা।
গলাচিপা ইউনিয়নের মুরাদ নগর গ্রামের আলু চাষী মুসাব্বর হাওলাদার বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে আলু চাষ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু হঠাৎ করে তিনদিন ধরে বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এখন ক্ষেতেই আলু রয়ে গেছে। জানিনা আলুর কি অবস্থা হবে।
একই এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিন একর জমিতে বিএডিসির সহযোগিতায় আলু চাষ করেছি। বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে। এ অবস্থা আর কয়েকদিন থাকলে আলুতে ফাটল ধরে পচন ধরবে। এ নিয়ে আমি পর পর তিনবার লোকসান দিয়েছি। এখন ভাবতে হবে আর আলু চাষ করবো কি-না! ক্ষেতের মেশিন দিয়ে পানি সরানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
এদিকে গলাচিপার ইটবাড়িয়া গ্রামের সোহাগ ও রাসেল জানান, এবছর আড়াই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এতে আমাদের প্রায় দুই লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। এখনও ঠিক করে বলতে পারছি না কি পরিমাণ ক্ষতি হবে।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখিছি।
তরমুজের বেশি একটা ক্ষতি হবে না। নিচু জমিতে পানি জমিয়ে থাকলে সেখানে সমস্যা থাকবে। ফাংগাসে আক্রমণ করে যাতে চারার পচন বা চারা ঢলে না পড়ে যায় সে জন্য কৃষককে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। অপর দিকে আলু এখন পচন দেখা না দিলেও ৪-৫ দিন পরে হয়তো ১০ ভাগ ক্ষতি হতে পারে। তবে সব কিছুই বলা যাবে আগামী এক সপ্তাহ পরে।
Leave a Reply