শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
কুয়াকাটায় চুরি আতঙ্কে বিনিদ্র রাত কাটছে পৌরবাসীর। গত ১৫দিনে বসতবাড়ি কিংবা দোকানপাট মিলে অন্তত ১০টি চুরি হয়েছে। অনেকে চুরির ধরনকে ডাকাতি বলছেন। সবচেয়ে উৎকন্ঠার বিষয় চুরির ঘটনা নিয়ে থানা-পুলিশে ঘাটাঘাটি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের রয়েছে আস্থাহীনতা।
সবশেষ ২৬ জুলাই রাতে একদল দুর্বৃত্ত এলজিইডির গেস্ট হাউস ‘চয়নে’ হানা দেয়। কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ি লাগোয়া এই গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার মোশাররফের কক্ষে ঢুকে তার হাত-পা বেধে মারধর করে। দুইটি মোবাইল সেট, এক ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ছয় হাজার টাকা লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা।
মোশাররফ এখন পটুয়াখালীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়রা একে ডাকাতি বলছে। কুয়াকাটা পৌরসভার নবীনপুরের রেদওয়ানুল ইসলাম জানান, ১১ জুলাই রাতে তার বাসায় তালা ভেঙ্গে চোরের দল টাকা-পয়সা, মালামাল নেয়। হতাশ হয়ে তিনি পুলিশের কাছে যাননি বলে মতামত। কোন লাভ হবেনা; এমন দাবি তার। এর একদিন আগে কুয়াকাটা সদর রোডে পল্লী চিকিৎসক শাহনেওয়াজের ফার্মেসী থেকে ৪০ হাজার টাকা খোয়া গেছে। পাঞ্জুপাড়া এলাকার মজিবর রহমান হাওলাদারের বাসা থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা, একই মহল্লার জামাল হোসেনের মোবাইল ফোন ও নগদ ৬০ হাজার টাকা। পৌরগোঁজার গফুর খানের ১০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া পশ্চিম কুয়াকাটার নেছার, মম্বিপাড়ার সুকেশ, সুকদেভ, প্রিয়নাথ ও নারায়ন ডাক্তার চুরির শিকার হয়েছেন। এরাও পুলিশের কাছে যায়নি। এনিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশকে জানাতে তাঁদের রয়েছে এক ধরনের অনীহা আর আস্থাহীনতা।
কুয়াকাটা পৌরসভার লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাসা থেকে ৭০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়। এ নিয়ে মামলা কিংবা কোন অগ্রগতি নেই। প্রধান শিক্ষক নাজমুস শাকিব খান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। সে বিষয়টি নিয়ে উল্টো নিজেই বিব্রতবোধ করেছেন থানায় গিয়ে।
সবশেষ শুক্রবার রাতে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বেড়িবাঁধের বাইরে জলিল মীরের বাসায় হানা দেয় দুর্বৃত্তরা। জলিল মীরের স্ত্রী ঘরের বাইরে বের হতেই পেছন থেকে আকস্মিক মুখে কাপড় বেঁধে ফেলা হয়। তাৎক্ষণিক পাশের ঘরের টিনের উপর আঘাত করায় আশপাশের লোকজন টের পেয়ে ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা সটকে পড়ে। মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, আমরা চোর ধরে আদালতে পাঠাই। ওই চোর জামিন নিয়ে কখন বের হয় তাতো জানা থাকেনা। এছাড়া গত পনেরদিনে চুরির বিষয়ে কুয়াকাটার কেউ তাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
Leave a Reply