শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
কুয়াকাটা প্রতিনিধি॥ কুয়াকাটার নয়াপাড়ায় জামাই-শাশুড়ির সন্ত্রাসী হামলায় এক ইমাম পরিবারের দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ৭টার দিকে কুয়াকাটার নয়াপাড়া আয়শা সিদ্দিকা (রা:) জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে। আহতরা হচ্ছেন আবুল কালাম (২৫) ও আবুল খায়ের (২৭)। এদেরকে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, বিরোধপূর্ণ জমিতে তুলাতলী এলাকার জাকির মাষ্টারের এক নবজাতক নাতি ফাতিমাতুজ জোহরা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করলে শুক্রবার সকালে জাকির মাষ্টার ও তার স্ত্রী হালিমাসহ তার জামাই নুরুজ্জামান দাফনের জন্য ওই মসজিদ সংলগ্ন বিরোধীয় কবর স্থানে নিয়ে আসলে মসজিদ কমিটি মসজিদের ভিতরে তাৎক্ষনিক মিটিং এ বসেন।
মসজিদ লাগোয়া ইমাম আ: রহমানের বাসায় যাওয়ার সময় মাষ্টার এর স্ত্রী হালিমা ইমামের পথ রোধ করে বাক বিতণ্ডার সৃষ্টি করে। এক পর্যায় হালিমার হাতে থাকা লোহার খোন্তা দিয়ে আঘাত করে। ইমামের চিৎকার শুনে তার ভাই আবুল কালাম ও আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে এলে ওই জামাই-শাশুড়ির হাতে থাকা খোন্তা, কোদাল, দা, কাচি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় মসজিদের ভিতরে থাকা মুসুল্লীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের প্রথমে কুয়াকাটার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য বিগত ২০১৬ইং সালে নয়াপাড়া আয়শা সিদ্দিকা (রা:) জামে মস্জিদ এর ইমাম আ: রহমান জাকির মাষ্টারের মাধ্যমে তার মায়ের কাছ থেকে ৩ (তিন) শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কুয়াকাটাসহ ৪টি মৌজার জমি ক্রয় বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্থানীয়ভাবে কার্টিজ পেপারে একটি লিখিত দলিল করে জমি ক্রয় বিক্রয় পারমিশন নিয়ে ইমাম সেখানে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছে। সেখানে জাকির মাষ্টার ওই জমির দলিল না দিয়ে তালবাহানা শুরু করলে জাকির মাষ্টার ও ইমামের মধ্যে বিরোধের সৃস্টি হয়।
যার ফলে ৩১ জুলাই সকালে বিরোধীয় জমিতে দাফন দিতে আসলে মুসুল্লীরা মিটিং এ বসে সিদ্ধান্ত দেয়ার আগেই জাকির মাষ্টার ও তার স্ত্রী এবং তার জামাই পরিকল্পিতভাবে এ অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইমাম পরিবারের দু’জনকে গুরুতর আহত করেন।
এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, জাকির মাষ্টার ইমামের কাছে জমি বিক্রি করে জমির পারমিশন হওয়ার পরে ইমামের নামে দলিল না দিয়ে গোপনে কবরস্থানের নামে দলিল দিয়ে তার পরে ইমামের নামে দলিল দেয়া এটা সম্পূর্ণ দুর্নীতি ও অনৈতি কর্মকাণ্ডের শামিল। তার পরে মহিলা দ্বারা কবরস্থানের ঘর করা এবং ইমাম পরিবারে হামলা এটা দুঃখজনক। বিশেষ করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা জরুরি।
Leave a Reply