শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
দুই দিনের টানা প্রবল বৃষ্টিতে পায়রা বন্দরসহ কলাপাড়ার গোটা উপকূলীয় জনপদের অন্তত ১৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। চাষের জমি, খাল-বিল, চলাচলের পথ সব পানিতে থৈ থৈ করছে। ডুবে গেছে সকল কৃষকের আমন বীজতলা। সবজি চাষীরা সব হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। পানি নামানোর স্লুইসগেট থাকলেও তা মাছ ধরার লোকজনের নিয়ন্ত্রণে। অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ খালে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করেছে প্রভাবশালীরা। আবার ভাটায় যতটুকু পানি নামছে তা আবার জোয়ারে ঢুকে যাচ্ছে। অধিকাংশরা কৃষক ও জেলে পরিবার। সাগরে মাছ শিকার ও আমনের চাষাবাদ বন্ধ। উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। এক কথায় সব যেন রুদ্ধ হয়ে গেছে।
রাবনাবাদ পাড়ের বাঁধ ভাঙ্গা জনপদের আট গ্রামের অন্তত তিন হাজার পরিবারের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ডোবা-ভাসা নিত্যদূর্ভোগ। তার ওপরে বর্ষার মৌসুম। তারও ওপরে এখন পূর্ণিমার জো চলছে। বাড়িঘর থেকে রান্নার চুলা পর্যন্ত ডোবা। পঞ্চমের মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজে। নৌকায় চড়ে। এসব পরিবারে সরাসরি রান্না করা খাবার সরবরাহ জরুরি। অন্তত শুকনো খাবার দেয়া প্রয়োজন রয়েছে। একই দশায় নিজামপুর, করমরপুরসহ চারটি গ্রামের। সাধারণ এই মানুষের দুরবস্থার শেষ নেই। অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবনের পাশাপাশি টানা প্রবল বৃষ্টিতে এখন এই জনপদ গেছে বানের জনপদ হয়ে। দূর্ভোগের ধরন দূর্যোগের মতো। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে বিশাল এক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অফিসসুত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল নয় টা পর্যন্ত গত ৪৮ ঘন্টায় এখানে ১৬৮ মিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা দুপুর ১২ টায় প্রায় ২০০ মিলিমিটারে পৌছার শঙ্কা করছেন তারা। অঝোর ধারার এই বৃষ্টি আর জোয়ারের ঝাপটা এখন সাগরপাড়ের মানুষকে চরম বিপদগ্রস্ত করে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তানভীর রহমান জানান, খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সতর্ক থেকে সর্বশেষ খবর জানাতে নির্দেশনা রয়েছে।
Leave a Reply