রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মুক্তির পর থেকেই গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজাতেই অবস্থান করছেন একাধিক দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। যে ভয়ে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে সরে ছিলেন, সেই ভয়ই তাকে পেয়ে বসেছে। বাসায় থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে।
আর এ কারণেই বর্তমানে খালেদার কাছে ভয়ে ভিড়ছেন না দল, কিংবা পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের কেউই। এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী নাকি ইদানীং প্রচুর ব্যস্ত হয়ে গেছেন, এ কারণে তারা এখন খালেদা জিয়ার কাছে যেতে পারছে না ও তার যত্ন নেয়ার সুযোগ পাচ্চেন না।
তারা আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ততার মাত্রা বেড়ে গেছে। আগে শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী প্রায় প্রতিদিনই খালেদার সঙ্গে দেখা করতে ও খোঁজ-খবর নিতে আসতো। কিন্তু এখন আর আগের মত আসেন না। এমনকি খোঁজ-খবরও নেন না।
অপরদিকে তার বোন সেলিমা ইসলামের বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই। তিনি বলেন, আপার বয়স হয়েছে, এ সময় তার পাশে থাকতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমার স্বামী বা আমি গিয়ে যদি তার কাছে থাকি, তখন আমরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারি।
এছাড়া আমরা সবাই করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছি। আপাকেও নিতে বলেছিলাম, কিন্তু তার ছেলে তারেক রহমানের জন্য দিতে পারিনি। আর এ কারণেই খালেদা জিয়ার করোনা হয়েছে।
সেলিমা ইসলাম আরো বলেন, এখন কী তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান পারে না তার সেবা করতে? শ্বাশুড়ির যত্ন নিতে ঢাকায় আসতে? সব দায়িত্ব কী আমাদের?
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এ পরিস্থিতিতে তার পরিচর্যা প্রয়োজন। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে করোনাকালীন সময়ও তার সেবা করতে বাধ্য করা হচ্ছে গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে।
এ বিষয়ে ফাতেমার ঘনিষ্ঠজনরা জানায়, পরিবারের কেউ খালেদা জিয়ার দায়িত্ব নিতে না চাওয়াতেই বাধ্য হয়ে ফাতেমাকেই সেবা করার জন্য থাকতে হচ্ছে। যদিও গৃহপরিচারিকা নিজেও করোনায় আক্রান্ত।
Leave a Reply