রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
আমতলী সংবাদদাতা: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন মিজান মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। মিজান মোল্লার ধর্ষণে ওই যুবতি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা কলাগাছিয়া বাজারে মোবাইল মেরামতের কাজ করে আসছে। মোরাইল মেরামতের আড়ালে ওই যুবতির সাথে তার সখ্যতা গড়ে তোলে। এক পর্যায় মিজান মোল্লা ওই যুবতিকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় কিন্তু তার প্রস্তাবে তরুণী রাজি হয়নি।
গত বছর ৩০ মে মিজান মোল্লা ওই তার বাড়িতে যায়। ওই সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না। একা পেয়ে মিজান মোল্লা তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর থেকে প্রায়ই মিজান ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জেনে মিজান তাৎক্ষণিক ওই তাকে এ বছর ৯ মার্চ আমতলীর মহিষকাটা সিলভি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। ওই সেন্টার ভিকটিমের আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। প্রতিবেদনে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করেন। পরে কৌশলে বিষাক্ত ওষুধ খাইয়ে বাচ্চা নষ্ট করে মিজান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবতী আমতলী থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক কয়েকজন বলেন, মিজান মোল্লা মোবাইল মেরামতের আড়ালে এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার কারণে এলাকার মেয়েরা ঠিকমত স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে পারতো না। তার বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের উত্ত্যক্ত করনের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু মানসম্মানের তাগিদে কেউ মুখ খুলছে না।
তারা আরও বলেন, একটি সত্য ঘটনায় পুলিশ মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে। মিজানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আরো একটি নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। আমরা মিজানের বিচার দাবি করছি।
ওই তরুণী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিজান মোল্লা আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমি বিয়ের কথা বললেই আজ-কাল বলে কালক্ষেপণ করতো। আমার পেটে ওর বাচ্চার খবর নিশ্চিত জেনে কৌশলে বিষাক্ত ওষুধ খাইয়ে বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, আসামি মিজান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply