শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ৬টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়েই চলছে অবৈধভাবে। আবার যাদের অনুমোদন রয়েছে তাদের নাই হালনাগাদ। অপরদিকে কেউ কেউ অনলাইনে আবেদন করেই বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাউফল পৌরশহরে সেবা ক্লিনিক, নিউ হেলথ কেয়ার, কালাইয়া সাহেদা গফুর ইব্রাহিম হাসপাতাল, কালিশুরী স্লোব বাংলাদেশ হাসপাতাল, নিউ লাইফ হাসপাতাল ও মাজেদা নামের ৬টি হাসপাতাল রয়েছে।
অপরদিকে পৌরশহরের কথামনি, ইসেব, পলি, জাবির, কালাইয়া বন্দরের নুহা, কালিশুরী বন্দরে মেডিকেয়ার ও ফেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস এ্যান্ড ল্যাব, বগাবন্দরে আপন ও বগা ডায়াগনস্টিক সেন্টার , কাছিপাড়া বাজারে ল্যাব এশিয়া ও কাছিপাড়া ডায়াগনস্টিক, কনকদিয়া প্যাথলোজি, নওমালা নগরের হাট বাজারে গ্রামীন কল্যান ও নগরের হাট ডায়াগনস্টিক, সূর্যমনির নুরাইপুর, আদাবাড়িয়া নিউ কাশিপুর, তাসিম ও গ্রামীন কল্যান ডায়াগনস্টি সেন্টার রয়েছে। যাদের একটিও কোন বৈধ অনুমোদন নাই।
সুত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের মধ্যে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিক, নিউ হেলথ ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড ক্লিনিক এবং মাজেদা ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড ক্লিনিকের রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন। সাহেদা গফুর ও স্লোব বাংলাদেশ হাসপাতালের লাইসেন্স থাকলেও হালনাগাদ নাবায়ন নাই। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে একমাত্র পলি এক্সরে ও প্যাথলজি অনলাইনে আবেদন করলে বাকি ১৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন অনুমোদন নেই। এগুলো অবৈধ ভাবে চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিধি অনুযায়ি বেসরকারী হাসপাতালের জন্য একজন সার্জন, তিন জন এমবিবিএস ও একজন এ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসক, বাংলাদেশ নার্সি কাউন্সিলের অনুমোদিত ৬ জন ডিপ্লোমা নার্স, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট, পোস্ট অপারেটিভ রুম, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তারের ছাড়পত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পয়জন লাইসেন্স থাকার কথা থাকলেও ৬টি হাসপাতালের কোনটিতে তা নেই।
এ ছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন ল্যাবটেকনেশিয়ান, একজন এক্সরেটেকনেশিয়ান, একজন প্যাথলোজিস্ট, একজন রিপোর্ট প্রদানকারী চিকিৎসক ও একজন রেডিওগ্রাফার থাকার কথা থাকলেও তা নেই। এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চলছে চরম নৈরাজ্য।
অভিযোগ রয়েছে, এ সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর অধিকাংশের মান উন্নত না হলেও রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষায় নিরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ টাকা নেওয়া হয়।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা বাউফলের বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তালিকা তৈরি করেছি। অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে খুব শীগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাথে সাথে তাদের জনবল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কোন টেষ্টের জন্য কত টাকা চার্জ ও অন্যান্য কি কি চার্জ নেওয়া হয় তারও একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে।
Leave a Reply