শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
মাসুদ রানা(মঠবাড়িয়া)
মঠবাড়িয়া সরকারী হাসপাতালের ডাঃ জামাল মিয়া শোভন ২০১০ ইং সনে বেতমোর আলমগীর খানের মেয়ের টি, আর অর্থাৎ সন্তান প্রসাব কালীন অতিরিক্ত ছিরে যাওয়া স্থানে অপারেশন করতে ওটি রুমে গেলে একাকী পেয়ে জামাল শোভন তাকে জড়িয়ে ধরেন ও শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দেয়। এক পর্যায় সে নোংরামি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ডাকচিৎকার দিলে ঘটনাটি লোক মুখে মূহুর্তে ছড়িয়ে পরে ও একাধিক গনমাধ্যমে ছাপা হয়। ডাঃ জামাল মিয়া শোভনকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মেয়ের বাবা আলমগীর খান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কিছু সমাজপতিদের অনুরোধে মামলার কার্যক্রম তৎকালীন ওসি মতিউর রহমান স্থগিত রেখে তাদের মধ্যস্থতায় ঘটনাটি তাদের সুষ্ঠ সমাধানের নির্দেশ দেন। যার মামলা নং ১২ এ,বি,এম ফজলুল হক, সালাউদ্দিন ফারুক, শহিদ জমাদ্দার, আমির বি,এস,সি জলিলুর রহমান ও খালিদ হোসেন তারা এ সিদ্ধান্ত দেন ওই মহিলার চিকিৎসার যে টাকা খরচ হবে তা অভিযুক্ত ডাঃ জামালকে বহন করতে হবে। পরে তাকে ডাঃ নাইমা কবিরের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং খরচ বাবত তাকে ৫০ হাজার টাকা গুনতে হয়। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়ার সর্বস্তরের মানুষ ফুঁসে উঠলে ১১ ইউপি চেয়াম্যান তৎকালীন থানা পরিষদে মিটিং ডেকে ডাঃ জামালের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে সে চাকুরী জীবনে মঠবাড়িয়ায় আর যোগদান করতে পারবে না। অথচ চেয়ারম্যানদের রেজুলেশনকে উপেক্ষা করে কেমন করে সে পুনরায় জঘন্য ঘটনারপর ও নিজ এলাকায় যোগদান করলেন। যা নিয়ে মঠবাড়িয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শালিসদার খালিদ হোসেন বলেন, নারী ঘটিত ঘটনায় ডাঃ জামাল মিয়া শোভনের বিরুদ্ধে ২০১০ ইং সনে থানায় একটি মামলা হয়ে ছিল। এক পর্যায় উভয় পক্ষের সমঝোতামূলক আলোচনার মধ্যদিয়ে মামলাটির নিস্পত্তি হয়। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা পরিষদে তার ব্যাপারে ১১ ইউপি চেয়ারম্যান একটি রেজুলেশন করেছিলেন যে তিনি চাকুরীতে থাকা কালীন মঠবাড়িয়ায় আর যোগদান করতে পারবেন না। শহিদুল হক জমাদ্দার বলেন, বেতমোর আলমগীর হোসেনের মেয়েকে নিয়ে যে ঘটনা হয়ে ছিল তা ফয়সালার মধ্যে আমারও অন্যতম ভূমিকা ছিল।
তার জরিমানা হিসেবে ওই মেয়ের চিকিৎসা বাবদ সকল খরচ ডাঃ জামাল মিয়া শোভন বহন করে ছিলেন এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তখন অন্যত্র বদলী করেন। ১৪/০৮/১৮ ইং তারিখ গোলবুনিয়ার আবুল হোসেন মিরের স্ত্রী বিউটি বেগমের জরায়ূ টিউমার অপারেশন করতেগিয়ে তিনি তার মূত্রথলী কেটে ফেলেন এর পর থেকে নিয়ন্ত্রনহীন প্রসাব ঝরতে থাকলে পুনরায় ডাঃ জামালের কাছে গেলে তিনি চিকিৎসা পত্র দিয়ে বলেন গামলায় পভিসেভ স্যাভলন মিশিয়ে প্রতিদিন বসবেন। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় ১৮/০৯/১৮ ইং তারিখ বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এক পর্যায় সেখানে পরিক্ষা শেষে ধরাপরে ভূল অপারেশনে তার মূত্রথলী কেটে যায়। বিউটি বেগম জানান, আমি সূস্থ হতে গিয়ে জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছেন ডাঃ জামাল মিয়া শোভনের ভূল অপারেশন। সবসময় ক্যাথেটার পরে শুয়ে থাকতে হয়। সাজানো সংসার আমার শেষ হয়ে গেল। অসহায় পরিবারে সঞ্চিত যা কিছু ছিল এর পিছনে খরচ করে আজ আমি সর্ব শান্ত। এ দিকে ডাঃ জামাল মিয়া শোভনের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী সহ ব্যাপক অনিয়মের প্রথম পর্ব ছাপা হওয়ার পর অপরাধ জগতের বিশেষ প্রতিনিধি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় তিনি একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
এছাড়াও তার বিভিন্ন ক্ষতি সাধন সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তার কিছু সাজানো লোকদিয়ে ফেইজবুকে বানোয়াট স্ট্যাটাস দিয়ে তার ভাব মুর্তি নষ্ট করছেন। তার পাহাড় সম অভিযোগ ডাকাদিতে কিছু হলুদ সাংবাদিক ও দালালদের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত তিনি পাগলের প্রলাপ বকছেন। ২৮ তারিখ শনিবার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ রফিকুল আলম তদন্ত করেন যে রির্পোট তিনি বরিশাল ডিভিশনাল ডিরেক্টর ডাঃ মাহবুবুর রহমানের কাছে পেশ করেন। ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন ডাঃ জামাল মিয়া শোভনের তদন্ত রির্পোট আমি মহাপরিচালক বরাবরে ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছি। অপর দিকে তার ভূল চিকিৎসায় যাদের অঙ্গহানী হয়েছে তারা আলাদা আলাদা ভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবুল কালাম আজাদের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। যে ঘটনায় তার বদলীর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। যা ফেরাতে তিনি বিভিন্ন সেক্টরে উঠেপরে লেগেছেন।
Leave a Reply