উপকূলের লাখো পরিবারে নেই ইদ আনন্দ  Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




 উপকূলের লাখো পরিবারে নেই ইদ আনন্দ 

 উপকূলের লাখো পরিবারে নেই ইদ আনন্দ 




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। ইদ আনন্দ নেই সাতক্ষীরা উপকূলের লাখো পরিবারে। করোনাকালে এবারের ইদ ঘরে বসে উদযাপনের সুযোগটুকুও পাবে না উপকূলের মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ তাদের সেই সুযোগটুকু থেকেও বঞ্চিত করেছে। উপকূলবাসীর এবারের ইদ কাটছে খেয়ে না খেয়ে, নৌকায় ভেসে অথবা সাইক্লোন শেল্টারে।

 

গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা উপকূলীয় এলাকা। এতে উপকূলের নদনদীর অন্তত ২০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, কাশিমাড়ি ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর এবং কালিগঞ্জ উপজেলার ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়।

 

ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ এখনো সংস্কার করা সম্ভব না হওয়ায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের সময় নদীর লোনা পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। আগে থেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ায় প্রাণে বাঁচলেও ভেসে গেছে উপকূলীয় জনপদের ঘরবাড়ি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ। বাঁচার তাগিদে এখন পানিতে ডুবে থাকা নিজ ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন উপকূলের মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। কেউ কেউ কোনোমতে নৌকায় জীবনযাপন করছেন। রাত পোহালেই যে ইদ, সে কথা ভুলে মনে উঠছে না তাদের।

এমনিতে করোনার কারণে দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দি থেকে আয় উপার্জন ছিল না বললেই চলে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে থাকার শেষ আশ্রয়টুকুও কেড়ে নেওয়ায় ইদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে উপকূলবাসীর।

পানিতে তলিয়ে থাকা ঘরবাড়ি উদ্ধারসহ দিনে অন্তত একবার খাবারের চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে থাকা পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছায়নি ইদ আনন্দ।

সাইক্লোন শেল্টার, নৌকা অথবা খোলা আকাশের নিচে রাত-দিন পার করে দেওয়া পরিবারগুলো দুঃস্বপ্নের মধ্যে বসবাস’ করছে উল্লেখ করে জানায়, বেঁচে থাকার জন্য যারা লড়ছে, ইদ উৎসব তাদের জন্য নয়।

ভাঙনমুখে থাকা শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালীর শামিমা খাতুন বলেন, ‘তিনবেলা খাবার জুটতেছে না, তাই ইদ নে কোন ভাবনা নি। কোন জাগা থেকে কিছু পালি ছাবাল-মেয়ে দুটোর মুখি দে ইদ এর দিনডা কাটিয়ে দেবানে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD