করোনাভাইরাসের ঝুকি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটে যাতায়াত করছেন কয়েক লাখ মানুষ Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




করোনাভাইরাসের ঝুকি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটে যাতায়াত করছেন কয়েক লাখ মানুষ

করোনাভাইরাসের ঝুকি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটে যাতায়াত করছেন কয়েক লাখ মানুষ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ বিভিন্নস্থান থেকে দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটে লঞ্চে যাতায়াত করছেন কয়েক লাখ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, লঞ্চ চলাচল কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনা মানছে না। এছাড়া বরিশাল নৌ-বন্দরে নেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোন অভিযান। ফলে ঢাকার সাথে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮টি নৌরুটে ছোট-বড় প্রায় দেড়শ’ লঞ্চের ডেকে গাদাগাদি করে কয়েক লাখ যাত্রী করোনার ঝুঁকি নিয়ে অবাধে যাতায়াত করছেন।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল নৌবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে এমভি অ্যাডভেঞ্চার-১, এমভি মানামী, এমভি সুরভী-৮,সুন্দরবন-১১, এমভি পারাবাত-১২ ও তুষখালী থেকে আসা এমভি পূবালী-৭ লঞ্চটি। এরমধ্যে একমাত্র মানামী লঞ্চে যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় শুধুমাত্র এমভি মানামী লঞ্চে সকল যাত্রীদের প্রবেশকালে আধুনিক তাপমাত্রা যন্ত্র দিয়ে যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাতের তালুতে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে লঞ্চের ভিতরে প্রবেশ করতে অনুমতি দিচ্ছে। এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চে দেখা গেছে, শুধু যাত্রীদের হাতে হেক্সিসল দিয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। আর বাকি লঞ্চগুলোতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এমন কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি।

ঢাকার উদ্দেশ্য তুষখালী থেকে ছেড়ে আসা এমভি পূবালী-৭ লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দর থেকে চাঁদপুরের যাত্রীদের নেয়ার জন্য নোঙ্গর করার সাথে সাথে ঠেলাঠেলি আর গাঁয়ে গাঁয়ে মিশে কয়েকশ’ যাত্রী ঝুকি নিয়ে লঞ্চে ওঠে। পরবর্তীতে কোন পরীক্ষা আর জীবাণুনাশক স্প্রে ছাড়াই যাত্রীদের নিয়ে নৌ-বন্দর এলাকা ত্যাগ করে লঞ্চটি। এ কারণে ব্যক্তিগত জরুরি কাজের জন্য করোনার ঝুঁকি থাকা সত্বেও শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করেই চলাচল করছি।

এমভি মানামী লঞ্চের সুপারভাইজার শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা সকল নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করছি। যাত্রীদের করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখার জন্য পাঁচদিন আগে থেকে আমরা প্রথমে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে লঞ্চটিকে প্রস্তুত করছি। এরপর লঞ্চের প্রবেশদ্বারে উন্নত তাপমাত্রাযন্ত্র দিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে আলাদা আলাদা করে তার শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। সাথে যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এই তাপমাত্রা যন্ত্রের সাহায্যে যদি কোন যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যায় অথবা করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাকে সাথে সাথে লঞ্চ থেকে নামিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD