রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশাল নগরের ইছাকাঠি এলাকার একটি মেসে বসবাসরত পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার ৫ ঘন্টার মধ্যে তাদের আটক ও ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বরিশার মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোঃ মোকতার হোসেন-পিপিএম-সেবা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের নতুল্লাবাদ লুৎফর রহমান সড়কে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাকাঠি এলাকার মৃধা বাড়ির সোহরাব মৃধার বাসার দ্বিতীয় তলায় ফ্লাটে ইনফ্রা পলিটেকনিক্যাল ইনিষ্টিটিউটের মেকানিক্যাল পঞ্চম সেমিষ্টারের ৪ জন ছাত্র বসবাস করেন।
তারা রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে রুমে বসে লুডু খেলছিলো। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অজ্ঞাত ৩/৪ জন যুবক তাদের রুমে প্রবেশ করে এবং দরজা আটকে দেয়। পরে তাদের মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র (কাটার) দিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন মডেলের ৫ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এরকিছুক্ষন পর ওই শিক্ষার্থীরা বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে অবহিত করলে, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বাড়িওয়ালা সোহরাব মৃধার থেকে মোঃ সালমান মৃধা (২১) কে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সালমান মৃধার দেয়া তথ্যানুযায়ী ওই রাতেই তাদের বাসার অপর ভাড়াটিয়া ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গিলাবাদ এলাকার কার্তিক দেবনাথের ছেলে পার্থ দেবনাথ অনিক (২১) ও বরিশাল নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের গনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ হাফিজ খানের ছেলে মোঃ মারুফ খান (২২) কে আটক করা হয়। পরে মারুফ খানের দেয়া তথ্যানুযায়ী ছাত্রদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ৫ টি মোবাইলসেট ও নগদ ১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, অভিযোগ জানার প্রায় ৫ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনার সাথে আরো ২ জন সম্পৃক্ত থাকার খবর রয়েছে, যাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পাশাপাশি এ ঘটনায় ইনফ্রা পলিটেকনিক্যাল ইনিষ্টিটিউটের মেকানিক্যাল পঞ্চম সেমিষ্টারের ছাত্র মোঃ রেদওয়ানা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ আব্বাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট) নাসরিন জাহান, এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ বিন আলম, ওসি (তদন্ত) এইচ.এম. আবদুর রহমান মুকুল, সেকেন্ড অফিসার এসআই অরবিন্দ বিশ্বাস, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মাউনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply