কে হচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার? Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কে হচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার?

কে হচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার?




অনলাইন ডেস্ক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (মহানগর পুলিশ) ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবন শেষে যাচ্ছেন অবসরে। আগামী মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) তার চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

এদিকে, আছাদুজ্জামান মিয়ার পর কে হবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার তা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। পুলিশের এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সবার মনে প্রশ্ন একটাই, কে হচ্ছেন নতুন ডিএমপি কমিশনার?

ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার কে হচ্ছেন এবং এই পদের জন্য যোগ্য কারা। ডিএমপি কমিশনারের পদটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল পদগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমান র‌্যাব প্রধান ও সে সময়ের ঢাকা মেট্রোপলিটনের পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন আছাদুজ্জামান মিয়া। মাঝে কেটে গেছে চার বছর সাত মাস। যা এই পদের জন্য রেকর্ড।

২০১৪ জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে বিরোধীদের আন্দোলনের কারণে অস্থিতিশীল ছিল রাজপথ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপদ সড়ক, কোটা সংস্কার ও ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনসহ নানা আন্দোলন সামলাতে হয়েছে বিদায় নিতে যাওয়া ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলার ঘটনাও ছিল বর্তমান কমিশনারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া, সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেস (সিআইএমএস) ডাটাবেজে এরই মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে ঢাকার ৭২ লাখ নাগরিকের তথ্য। অবসর নিতে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৮৫ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (বিসিএস) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।

ইতোমধ্যেই কমিশনার হওয়ার দৌড়ে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ডিএমপি কমিশনার হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপির (চলতি) দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি শাহাব উদ্দীন কোরেশী।

এদিকে, গোপালগঞ্জের ২ সন্তান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান (১৮তম), কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম (১৫তম বিসিএস), ও আলোচনায় পিছিয়ে নেই বললেই চলে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপির (চলতি) দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, তিনি হলেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপির (চলতি) দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। গত ১৬ মে তাকে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির পদ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপির চলতি দায়িত্বে পদায়ন করা হয়। তিনি বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৯ সালে পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন।

আরেকটি বিশ্বস্ত্ব সূত্র মতে, জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর গুডবুকে নাম আছে মামুনের। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, যদি ডিএমপি কমিশনার নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী আইজিপির মতামত নেন তাহলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনই ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব পাবেন বলে মনে করছেন অনেকেই।

এছাড়া, এই পদে দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন অতিরিক্ত আইজিপি (চলতি), মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসানের নাম। চলতি বছরের ৬ মে কঙ্গোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের তৎকালীন রেক্টর (অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক) রৌশন আরা বেগমের পদে স্থলাভিষিক্ত হন নৌ-পুলিশের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান। তিনি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি ও সর্বশেষ নৌপুলিশের ডিআইজির দায়িত্ব পালন করেন। তার বাড়ি খুলনায়।

এছাড়া, এই পদে ৩য় যে ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে সিআইডির প্রধান হিসেবে কর্মরত। বিভিন্ন পর্যায়ে তার কমিশনার হওয়ার আলোচনাটাওে সবচেয়ে বেশি।

শফিকুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন। তার বাড়ি বৃহত্তর কুষ্টিয়ায়। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। বিএনপি শাসনামলে তাকে দেশের দুর্গম এলাকায় শাস্তিমূলক বদলি দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়। সরকারের কাছে ক্লিন ইমেজের অফিসার হিসেবে তার বেশ সুনাম রয়েছে। তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি থাকায় ঢাকার সব জেলায় ইতিবাচক পরিস্থিতি রেখেছিলেন। ক্লিন ইমেজ ও ডেকোরেটেড অফিসার হিসেবে কমিশনারের পদের জন্য এগিয়ে আছেন তিনি।

কমিশনার হওয়ার দৌড়ে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি শাহাব উদ্দীন কোরেশী। তিনি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার জন্ম ১৯৬১ সালের ১৯ অক্টোবর। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। তিনি ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর তাকে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ ও উন্নয়ন) এর দায়িত্ব দেয়া হয়। গত রোববার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার স্ত্রী সৈয়দা আক্তার (৫৪)।

এ ছাড়াও, কমিশনার পদে এরমধ্যে জুনিয়রও দুই কর্মকর্তা রয়েছেন।এ প্রতিযোগিতায় বর্তমানে তাদের অবস্থান অনেক দূরে থাকলেও যদি কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হয়ে থাকে তাহলে তাদের মধ্যে যে কেউ একজন ভারপ্রাপ্ত ডিএমপি কমিশনারের হতে পারেন এমন তথ্যও পাওয়া গেছে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রটি নিচ্শিত করে ডিএমপি কমিশনার এ পদের জন্য আলোচনায় গোপালগঞ্জের এই ২ সন্তানও পিছিয়ে নেই বললেই চলে। তারা হচ্ছেন- কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। মনিরুল ইসলাম ১৫তম বিসিএস এবং হাবিবুর রহমান ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। জানা গেছে, তাদের কমিশনার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও এদের মধ্যে যেকোনো একজনকে ভারপ্রাপ্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে।

প্রসঙ্গত, কমিশনারের এ পদে ১৯৭৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু হওয়া ডিএমপির প্রথম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ই এ চৌধুরী। এরপর যথাক্রমে ডিএমপির কমিশনার ছিলেন- এ এম এম আমিনুর রহমান, আব্দুর রকীব খন্দকার, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, এম আজিজুল হক, এ এইচ এম বি জামান, এ এম এম নসরুল্লাহ খান, মোহাম্মদ সালাম, এম এনামুল হক, গোলাম মোরশেদ, এ এস এম শাহজাহান, আশরাফুল হুদা, মির্জা রকিবুল হুদা, এ এন হুসেইন, একে আল মামুন, এ এফ এম মাহমুদ আল-ফরিদ, এ কে এম শামসুদ্দিন, মতিউর রহমান, কুতুবুর রহমান, আনোয়ারুল ইকবাল, আব্দুল কাইয়ুম, এস এম মিজানুর রহমান, নাইম আহমেদ, এ বি এম বজলুর রহমান ও এ কে এম শহীদুল হক।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৪ আগস্ট) রাতে ডিএমপির ফেসবুক পেজে জননিরাপত্তা বিধানে জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক লাইভ অনুষ্ঠানে এসে নিজের অবসরের কথা সকলকে মনে করিয়ে দেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি এ সময় বলেন, দীর্ঘ ৩২ বছর পুলিশে চাকরি করেছি। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রিয় ইউনিফর্মটা আর পরতে পারব না। এটা অনেক কষ্টের। তিনি আরো বলেন, আমি সম্মানিত নাগরিকদের কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে, যেসব জেলায় অনেকদিন চাকরি করেছি। আমি তাদের যে ভালোবাসা, সমর্থন, সহযোগিতা পেয়েছি, তাতে অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। চেষ্টা করেছি জনগণের জন্য কাজ করার, দেশের জন্য কাজ করার।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD