শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে দুই টাইয়ের কারণে বাউন্ডারি মারায় এগিয়ে থাকার সুবাদে ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। তবে এরপর তারা দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে ৭৪ রানের জুটি। এই অবস্থায় যখন তারা বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল ঠিক তখনই উইলিয়ামসন আর হেনরি নিকোলাস সাজঘরে ফেরেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে ২৪১ রান তুলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮০ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে এরপর জস বাটলার আর বেন স্টোকস মিলে গড়েন ১১০ রানের অসাধারণ এক জুটি। এই জুটিতে ভর করে ইংল্যান্ড যখন সহজ জয় দেখছিল ঠিক তখনই সব উলট পালট করে দেন লকি ফার্গুসন। শেষ ৬ ওভারে যখন ৫৪ রানের দরকার ঠিক সেই সময়ই ৬০ বলে ৫৯ রান করা বাটলারকে ফিরিয়ে দেন। এতে শেষ ৩১ বলে দরকার পড়ে ৪৬ রানের।
৪৬তম ওভারে আসে ৭ রান। পরের ওভারে বল করতে এসেই প্রথম বলে ক্রিস ওকসকে তুলে নেন লকি ফার্গুসন। ওই ওভারের শেষ ৫ বলে ৫ রান দেন তিনি। এতে শেষ ৩ ওভারে দরকার পড়ে ৩৪ রানের। ট্রেন্ট বোল্টের পরের ওভারে আসে ১০ রান। এতে ১২ বলে দরকার পড়ে ২৪ রানের।
নিশাম পরের ওভারে এসে প্রথম ৩ বলে দুই রান দিয়ে তুলে নেন প্লাঙ্কেটকে। পরের বলে ক্যাচ ধরলেও সীমানার বাইরে চলে যান বোল্ট। এরপর আসে ১ রান। শেষ বলে নিশাম তুলে নেন জফরা আর্চারকে। এতে শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৫ রানের। প্রথম দুই বলে ডট দেন বোল্ট। পরের বলে ৬ মেরে বসেন স্টোকস।
পরের বলটিও ছয় মারার চেষ্টা করেন তিনি। তবে বল চলে যায় সীমানায় থাকা গাপটিলের হাতে। এতে দুই রানের জন্য দৌড় দেয় দুই ব্যাটসম্যান। একসময় বুঝতে পেরে ডাইভ দেন স্টোকস। ঠিক তখনই থ্রো করেন গাপটিল। বলটি ডাইভ দেয়া স্টোকসের গায়ে লেগে চলে যায় সীমানায়। এতে ৬ রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এতে শেষ ২ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। প্রথম বলে ২ রান নিতে গিয়ে আউট হন রশিদ। এতে শেষ বলে দরকার হয় ২ রানের। বোল্টোর করা ফুলটস বল আলতো টোকা দিয়ে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন স্টোকস তাতেই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সেখানে আগে ব্যাটের সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। মাঠে নামেন বাটলার আর স্টোকস। বল করতে আসেন বোল্ট। ওই ওভারে যথাক্রমে ৩,১,৪,১,২,৪ রান আসে। এতে কিউইদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রানের।
সুপার ওভার করতে আসেন জফরা আর্চার। আর ব্যাটে নামেন গাপটিল ও নিশাম। প্রথম বলে আসে ওয়াইড, পরের বলে ২, ৬, ২,২,১,১। মানে নিউজিল্যান্ডও করে ১৫ রান। এতে গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকার সুযোগে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নিউজিল্যান্ড হারায় দলের ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে। পুরো টুর্নামেন্টে বাজে পারফর্ম করা মার্টিন গাপটিলের কাছে কিউইদের প্রত্যাশা ছিল ফাইনালে অন্তত তিনি কিছু করে দেখাবেন। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ১৮ বল খেলেন ১৯ রানের ইনিংস। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ১টি। সপ্তম ওভারে দলীয় ২৯ রানের মাথায় ক্রিস ওকসের শিকার হন তিনি।
তবে শুরুতেই উইকেট পড়তে পারতো ক্রিস ওকসের বলে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তার বলে এলবিডব্লিউর আবেদন ওঠে এবং আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙ্গুল তুলে দেন। হেনরি নিকোলস রিভিউ নিলে নটআউট ঘোষণা করা হয়।
গাপটিল বিদায় নিলে প্রতিরোধ গড়েন নিকোলাস ও উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটিতে আসে ৭৪ রান। যখন কিউইরা বড় রানের দিকে এগুচ্ছিল ঠিক তখনই আঘাত হানেন প্লাঙ্কেট। ২৩তম ওভারে এসে তিনি উইলিয়ামসনকে ফেলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। এর আগে ৫২ বলে ৩০ রান করেন উইলিয়ামসন।
এই জুটি ভাঙার পর ফের ধাক্কা খায় কিউইরা। এবার সাজঘরে ফেরেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান হেনরি। তাকেও শিকার হতে হয় প্লাঙ্কেটের। তবে তার আগে ৫৫ রানের একটি মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর আর কোনো জুটিই গড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ড। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। প্রথমে সাজঘরে ফেরেন সেমির ম্যাচের নায়ক রস টেলর। দলীয় ১৪২ রানের মাথায় ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেন টম লাথাম ও জেমস নিশাম। তবে তাদের চেষ্টাও ব্যর্থ। প্লাঙ্কেটের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিশাম। তখন দলীয় রান ছিল ১৭৩ আর ওভার ছিল ৩৯।
পরে গ্রান্ডহোমকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন লাথাম। তবে গ্রান্ডহোমের স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে সে প্রতিরোধ কোনো কাজেই আসেনি। ২৮ বল থেকে মাত্র ১৬ রান করে ৪৭তম ওভারের শেষ বলে ক্রিস ওকসের বলে ক্যাচ উঠিয়ে দেন গ্রান্ডহোম। এরপর শেষ তিন ওভারে আরও ২ উইকেট হারিয়ে আসে মাত্র ২১ রান। এতে কিউইদের ইনিংস থামে ২৪১ রানে। লাথাম করেন ৪৭ রান।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা। সেমিফাইনালের নায়ক জেসন রয় সাজঘরে ফেরেন মাত্র ১৭ রান করে। দলীয় ২৮ রানের মাথায় ম্যাট হেনরির শিকার হন তিনি।
এরপর মাঠে আসেন জো রুট। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৭তম ওভারে গ্রান্ডহোমের শিকার হন মাত্র সাত রান করে। এতেই জমে উঠেছে ফাইনাল। কারণ ২ উইকেট হারালেও রানের চাপে পড়েছে ইংলিশরা।
সেই চাপ আরেকটু বাড়িয়ে দেন লকি ফার্গুসন। তিনি ফেরান দারুণ খেলতে থাকা জনি বেয়ারস্টোকে। দলীয় ৭১ রানের মাথায় ৩৬ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো।
এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের ধাক্কা খায় ইংলিশরা। এবার হতাশ করেন তাদের অধিনায়ক। জেমস নিশামকে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ উঠিয়ে দেন তিনি। প্রায় ৭ থেকে ৭ গজ দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি লুফে নেন লকি ফার্গুসন।
তবে এরপর জস বাটলার আর বেন স্টোকস মিলে গড়েন ১১০ রানের অসাধারণ এক জুটি। এই জুটিতে ভর করে ইংল্যান্ড যখন সহজ জয় দেখছিল ঠিক তখনই সব উলট পালট করে দেন লকি ফার্গুসন। শেষ ৬ ওভারে যখন ৫৪ রানের দরকার ঠিক সেই সময়ই ৬০ বলে ৫৯ রান করা বাটলারকে ফিরিয়ে দেন। এতে শেষ ৩১ বলে দরকার পড়ে ৪৬ রানের।
৪৬তম ওভারে আসে ৭ রান। পরের ওভারে বল করতে এসেই প্রথম বলে ক্রিস ওকসকে তুলে নেন লকি ফার্গুসন। ওই ওভারের শেষ ৫ বলে ৫ রান দেন তিনি। এতে শেষ ৩ ওভারে দরকার পড়ে ৩৪ রানের। ট্রেন্ট বোল্টের পরের ওভারে আসে ১০ রান। এতে ১২ বলে দরকার পড়ে ২৪ রানের।
নিশাম পরের ওভারে এসে প্রথম ৩ বলে দুই রান দিয়ে তুলে নেন প্লাঙ্কেটকে। পরের বলে ক্যাচ ধরলেও সীমানার বাইরে চলে যান বোল্ট। এরপর আসে ১ রান। শেষ বলে নিশাম তুলে নেন জফরা আর্চারকে। এতে শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৫ রানের। প্রথম দুই বলে ডট দেন বোল্ট। পরের বলে ৬ মেরে বসেন স্টোকস।
পরের বলটিও ছয় মারার চেষ্টা করেন তিনি। তবে বল চলে যায় সীমানায় থাকা গাপটিলের হাতে। এতে দুই রানের জন্য দৌড় দেয় দুই ব্যাটসম্যান। একসময় বুঝতে পেরে ডাইভ দেন স্টোকস। ঠিক তখনই থ্রো করেন গাপটিল। বলটি ডাইভ দেয়া স্টোকসের গায়ে লেগে চলে যায় সীমানায়। এতে ৬ রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এতে শেষ ২ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। প্রথম বলে ২ রান নিতে গিয়ে আউট হন রশিদ। এতে শেষ বলে দরকার হয় ২ রানের। বোল্টোর করা ফুলটস বল আলতো টোকা দিয়ে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন স্টোকস তাতেই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
Leave a Reply