শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:রাজধানীতে কুরবানির পর থেকে পুরান ঢাকার পোস্তা, আমীনবাজার চামড়ার আড়তে জমে উঠেছে বেচাকেনা। তবে চামড়ার দর নিয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ী ও পাইকারদের মধ্যে রয়েছে পাল্টাপাল্টি যুক্তি। ফড়িয়ারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না তারা। যদিও পাইকাররা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখেই কেনা হচ্ছে চামড়া। এবার কুরবানিতে সারাদেশে ১ কোটি ২০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে ট্যানারি মালিকদের।
পশু কুরবানির আনুষ্ঠানিকতার পরপরই রাজধানীতে ধুম লেগেছে চামড়া বেচাকেনায়। বুধবার(২২ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে সায়েন্সল্যাব ও হাজারীবাগের অস্থায়ী বাজারে রিকশা-ভ্যানে করে চামড়া নিয়ে আসতে শুরু করেন ছোট ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা।
দিন পেরিয়ে যখন রাত, তখন মৌসুমী ব্যবসায়ী আর আড়তদারদের বোঝাপড়ায় পুরোদমে জমে ওঠে লালবাগের পোস্তা চামড়া-বাজার। সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় লবণ মাখিয়ে চামড়া সংরক্ষণের কাজ। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দাম পাচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে আড়তদাররা দুষছেন নতুন ব্যবসায়ীদের অনিভজ্ঞতাকে।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘কোম্পানি যে রেট দিছে, সে রেটে আমরা চামড়া কিনতে পারছি না। অনেক চামড়া অনেক জায়গায় চলে যাচ্ছে।’
রাজধানীর ২য় বৃহত্তম আড়ৎ আমিনবাজারও সরগরম হয়ে ওঠে চামড়া বেচাকেনায়। অবশ্য এখানেও ছিল আক্ষেপের ফিরস্তি। অনেকে লাভ কম, কারো আবার লাভ হচ্ছেই না। আর কারো মুখে পুঁজি হারানোর হিসাব।
এবছর ঢাকায় প্রতিবর্গফুট লবণজাত গরুর চামড়ার দাম সরকারিভাবে নির্ধারিত হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর খাসির চামড়া প্রতিবর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে ১৮-২০ এবং বকরির ১৩ -১৫ টাকা বর্গফুট। যদিও বেশিরভাগ জায়গায় চামড়া বিক্রি হতে দেখা যায় পিস হিসেবে।
Leave a Reply