সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে সরকারি শেরে বাংলা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়, দূর্নীতি, অনিয়ম ও ছাত্রীদের সাথে অশ্লীল আচরণের প্রতিবাদে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আজ ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল মাহমুদ আউয়াল এর নেতৃত্বে শত শত শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে ঐ দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম ইরাণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিগ্রি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মীর জাহিদ, মোঃ উজ্জল বেপারী, জুলমত সরকার, মোঃ জসিম হাওলাদার, এইচ.এস.সি প্রথম বর্ষের ছাত্র সাব্বির ফকির, সাগর শরীফ, সৈকত হাওলাদার, মেহেদী সরদারসহ অভিযোগকারী ছাত্রীরা। সূত্রে জানা যায়, ডিগ্রি পরীক্ষার ফরম পূরণে সরকারি নির্ধারিত ফি ৮০০ টাকা থাকা সত্ত্বেও কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছেন ৩৫২০ টাকা থেকে ৫৫০০ টাকা এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফরম পূরণে প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা।
তিনি অনলাইনে ফি বাবদ জনপ্রতি শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ২০০ টাকা এবং প্রশংসা পত্রে ৭০০-১০০০ টাকা হাতিয়ে নেন। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে সরকারি ধার্যকৃত ফি নেয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি টাকা দিতে না পারলে কয়েকজন ছাত্রীর মায়েদেরকে কাজের জন্য তার বাসায় আসতে বলেন। এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আরো জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে ৪টি চাম্বল ও ২টি মেহগনী গাছ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, মাদক, শিক্ষার্থীদের যৌন হয়ারিন সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২টি টাওয়ার থেকে ভাড়া বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। আরো জানায় কলেজে কোন ক্রীড়া অনুষ্ঠান হয় না, ক্যান্টিন নেই, কমনরুম নেই।
কিন্তু সে অজুহাতেও আমাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে নেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ জানান, আমি কোন শিক্ষার্থীর সাথে অশ্লীল আচরণ করিনি তবে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চ মেরামতের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায় করেছি। এ টাকাগুলো শিওর ক্যাসের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে কলেজের একটি একাউন্টে জমা হয়।
এ রকম অতিরিক্ত ফি আদায় প্রতিটি কলেজই করে থাকে। কেউ অভিযোগ করলে তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তার জানান, ঐ অধ্যক্ষ কলেজের কোন বিষয়ই আমার সাথে কিছুই শেয়ার করেন না, নিজ ইচ্ছামত কাজ করেন।
Leave a Reply