রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৫ম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক তরিকুল ইসলাম রিমনকে (২৮) সোমবার রাতে গ্রেফতার করে। রিমন গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল ওলিমদ্দিন পাড়ার মো. ইউনুস সরদারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রিমন বেশ কিছুদিন ধরে ওই ছাত্রীকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করতো। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পাশের মুদি দোকান থেকে ডিম কিনে ফিরছিল। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা রিমন তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাশের বাঁশবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। সেইসঙ্গে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। ভয় পেয়ে ওই ছাত্রীও বিষয়টি চেপে রাখে।
গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে দ্বিতীয় দফায় রিমন ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার দিয়ে এবং জোর করে সেখান পালিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে অভিভাবকরা এলে সে আগের ঘটনাসহ পুরো বিষয়টি খুলে বলে।
এদিকে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে ওই রাতেই তার বাবা তরিকুল ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত রিমনকে তার বাড়ির পাশ থেকে গ্রেফতার করে।স্থানীয়রা জানান, লম্পট রিমন বিবাহিত। পাশাপাশি সে এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। এলাকার শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করে সে তার মাদক ব্যবসা করে আসছে।
গোয়ালন্দ থানার ওসি এজাজ শফি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেফতারকৃত আসামি রিমনকে রাজবাড়ীর সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
Leave a Reply