বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নানামূখী কর্মতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৪ হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মীদের দ্বারা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ শতাধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। চাহিদা মেটাতে বিশেষ ওএমএস কার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া করোনা প্রতিরোধে নেয়া বিভিন্ন কর্ম তৎপরতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে। আর সকল কার্যক্রমই সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ৩০মার্চ থেকে নগরীর কর্মহীন মানুষদের বাসায় বাসায় গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ( চাল, মসুর ডাল, আলু ও দুটি সাবান) পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
প্রথম দফায় মোট ৫৭ হাজার ১৭১ পরিবারের বাসায় গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনরায় এ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। ঈদের দুইদিন বন্ধ থাকার পর তা আবার শুরু করা হয়েছে।
এবং এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪০৩ টি পরিবারের কাছে এ সহায়তাসহ এখন পর্যন্ত মোট ৮৩ হাজার ৫৮৪ পরিবারের কাছে এ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এবং মেয়রের ঘোষনা অনুযায়ী পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।
এদিকে করোনার নমুনা সংগ্রহে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি মেয়রের নির্দেশে বিসিসির স্বাস্থ্য শাখা থেকেও একটি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ওই টিম এখন পর্যন্ত বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের ৬ শতাধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
এছাড়া ডেঙ্গুর বিস্তাররোধে মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। অপরদিকে পানি সরবরাহ বিভাগে নগরজুড়ে জীবনানুনাশক স্প্রে ছিটানোর পরিধী আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিসিসি সূত্র জানায়, দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর উদ্যোগে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।
শুরুতেই বিসিসির স্টাফদের সুরক্ষায় বায়োমেট্টিক হাজিরা স্থগিত, নগর ভবনসহ নগরীর ১২টি পয়েন্টে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কার্যক্রম চালু করা হয়।
এরপর মেয়রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গত ৩০ মার্চ থেকে অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়। এর আওতায় ৩০ মে পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৫৭৪ পরিবারকে ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
বসতবাড়ী ছাড়াও নগরীর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের অসহায়দের মাঝেও খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নগরীতে সরকারের দেয়া বিশেষ ওএমএস কার্ডের চাহিদা বেশী থাকায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে কার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করিয়েছেন।
এদিকে বিসিসির পানি সরবরাহ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , মেয়রের নির্দেশে করোনা রোধে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গড়ে বর্তমানে প্রতিদিন ৪২ হাজার লিটার জীবানুনাশক পানি স্প্রে করা হচ্ছে।
পানি সরবরাহ শাখায় ৯ হাজার ধারন ক্ষমতার নতুন একটি ভাউজার যুক্ত হওয়ায় জীবনুনাশক স্প্রে ছিটানো কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
প্রতিদিন নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক, বাজার ও জনসমাগম হয় এমন এলাকায় স্প্রে ছিটানো হচ্ছে। এর মধ্যে ছোট দুটি গাড়ীর সাহায্যে নগরীর বর্ধিত এলাকায় এবং বড় গাড়ীর সাহায্যে গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে।
অপরদিকে বিসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা রোধে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। কয়েকশত কর্মী দিনরাত নগরী পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া মশক নিধন কার্যক্রমও চলছে জোরেশোরে। ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে মেয়রের নির্দেশে প্রতিদিন সকালে নগরীর ২ থেকে ৩টি ওয়ার্ডে ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে স্প্রে করা হচ্ছে। এবং বিকেলে ফগার মেশিনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন সড়ক ও ড্রেনে স্প্রে করা হচ্ছে।
মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ ও জনগনের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে অসহায় মানুষদের সহায়তায় গঠন করা হয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ত্রান তহবিল। গত ৬ এপ্রিল এ তহবিল চালু করেই মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর দায়িত্বকালিন সময়ের প্রাপ্য সম্মানির ৩৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা প্রদান করেন।
Leave a Reply