মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রাজধানীর চারটি হাসপাতালে ভর্তি না করে মোহাম্মদ আলমাছ উদ্দিন নামের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিনভর ছোটাছুটির পর মধ্যরাতে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হলেও রোববার (২৯ মার্চ) সকালে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়েছে ৬৮ বছর বয়সী আলমাছকে।
আলমাছ উদ্দিনের বড় ছেলে আরিফ হাসানের অভিযোগ, তার বাবা শনিবার ভোরে রাজধানীর বাসাবোর নিজ বাসায় ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর একে একে তাকে বারডেম হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পপুলার হাসপাতালে ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোনো হাসপাতালই ভর্তি করতে রাজি হয়নি। পরে রাত ১২টায় মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হলেও ততক্ষণে তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে। এই অবস্থায় রোববার সকালে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আলমাছ উদ্দিন। মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেটেও ব্রেইন স্ট্রোককে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রোববার বাদ জোহর বাসাবো মাঠে নামাজে জানাজার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মাদারটেক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই, সাবেক মহাসচিব এম এ রশীদ, শরীফ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীরপ্রতীক এবং কমান্ডার শামসুজ্জামান বাবুল। এক শোকবার্তায় করোনা সন্দেহে চিকিৎসা না দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে মরহুমের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্মমহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, ‘শুধু মুক্তিযোদ্ধা কেন, কোনো রোগীর ক্ষেত্রেই এমনটা হওয়া উচিত নয়। বৈশ্বিক এই মহামারি মোকাবিলার পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টিও দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ আমাদের পরম সতীর্থ। তার এমন মৃত্যুতে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি৷ আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন এই বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
Leave a Reply