মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সরকারি গাছ কাটার সময় এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়েন গ্রাম্য পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী চারদিক দিয়ে জড়ো হলে পালিয়ে যায় তারা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের সুটিবাড়ি হাটের একটি ইউক্যালিপটাস গাছ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে সরকারি গাছ কাটতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। এ সময় গ্রাম্য পুলিশ মশিয়ার রহমান, আব্দুর জব্বার ও চেয়ারম্যানের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে এলাকাবাসী চারদিকে জড়ো হলে পালিয়ে যায় তারা।
জানা যায়, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের গয়াবাড়ি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সফিকুল ইসলাম সরকারি ওই গাছটি মাঝখানে রেখে সুটিবাড়ি বাজারে ওষুধের দোকান দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে কেটে নেয়ার কথা বলেন। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বৃহস্পতিবার গ্রাম্য পুলিশের উপস্থিতিতে গাছটি কেটে নেয়ার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। তখন বাধা দেয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে গ্রাম্য পুলিশ মশিয়ার রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হকের নির্দেশে গাছটি কাটা হচ্ছিল। কিন্তু ইউএনও নিষেধ করায় গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক বলেন, প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশ পেয়ে গাছ কাটা হচ্ছিল। পরে মোবাইল ফোনে নির্দেশ পাওয়ায় গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে সরকারি গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তাকে বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নুর আলম সিদ্দিকী জানান, বিনা অনুমতিতে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে মামলা করা হবে।
Leave a Reply