মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং বরিশাল জেলার রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশ্যে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড অপসারনের দায়িত্ব নিরালস ভাবে পালন করে আসছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমীনুল ইসলাম। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৪ শ’র অধিক বিলবোর্ড ব্যানার ফেষ্টুন ও পোষ্টার অপসারন করেন। সূত্র জানা গেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেন্টুনসহ সকল প্রকার নির্বাচনী প্রচারনা’র অপসারনের জন্য বলেন। এর মধ্যে অনেক সরিয়ে নেয়া হলেও কিছু বাকি রয়েছে গুলোকে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের সহযোগীতায় অপসারনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট,আমীনুল ইসলাম।
সূত্রমতে গতকাল বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালায় মোবাইল কোর্ট।আজ সকালে সদর উপজেলার কাশিপুর ও রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করেন। এসব এলাকাগুলো হলো গড়িয়ারপাড়, কলাডেমা, চহট্টা, সোলনা বাজার, সেনের হাট, বসুরহাট, দক্ষিন কড়াপুর, উত্তর কড়াপুর, কড়াপুর পপুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে, করমজা বাজার, রায়পাশা বাজার। পরে বিকেলে আরো ২টি ইউনিয়নে অভিযান চালায় সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ও শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্তে। এসব স্থানগুলো হল তালতলী বাজার, তালতলী ব্রীজের উপর ও দুই পাশে, শায়েস্তাবাদ বাজারে। এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানায় সাধারন মানুষ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমীনুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক ও বরিশাল জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দশনা মোতাবেক নির্বাচনী বিলবোর্ড, ফেষ্টুন, পোষ্টার সরানোর জন্য বলা হলেও কেউ কেউ তা সরিয়েছে আবার অনেকেই না সরিয়ে রেখে দিয়েছে। এখনো প্রদর্শিত বিল বোর্ড ফেষ্টু ও পোষ্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে এবং আজ থেকে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার কোথাও প্রচারনা মূলক সামগ্রী প্রদর্শিত অবস্থায় পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা যায়।
Leave a Reply