শেবাচিমে স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ নিষিদ্ধ Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শেবাচিমে স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ নিষিদ্ধ

শেবাচিমে স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ নিষিদ্ধ




নিজস্ব প্রতিবেদক।।  ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কোপানোর নির্দেশ দেয়ার খবর গণমাধ্যমে আসায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্কয়ার ও রেনেটা কোম্পানির ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসক এসএম বাকীর হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকদের এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংগঠন ফারিয়ার একাধিক সদস্য।ফারিয়ার একাধিক সদস্য জানান, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কোপানোর নির্দেশ দেয়ার খবর সোমবার কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত সংবাদে স্কয়ার কোম্পানির প্রতিনিধি মো. মেজবা উদ্দিন ও ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের (ফারিয়া) বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি রেনেটার জোনাল ম্যানেজার শহীদ হোসেন মুন্নার বক্তব্য ছিল। এ কারণে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসক এসএম বাকীর হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে আন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগের চিকিৎসকদের ডেকে স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে নিষেধ করেছেন।বুধবার দুপুরে ওই দুই কোম্পানির প্রতিনিধি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। চিকিৎসকরা বলেছেন ওপরের নির্দেশ আছে, স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ লেখা যাবে না।

এর আগে সোমবার সকাল ৯টার দিকে স্কয়ার কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মো. মেজবা উদ্দিনকে হাসপাতালের প্রধান ফটকে লাঞ্ছিত করেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. মামুন। এ ঘটনায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসক এসএম বাকীর হোসেনের কাছে অভিযোগ দেন রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংগঠন ফারিয়ার নেতারা।কিন্তু হাসপাতালের পরিচালক এসএম বাকীর হোসেন অভিযুক্ত কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে উল্টো রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংগঠন ফারিয়ার নেতাদের হুমকি দেন। সেই সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক এসএম বাকীর হোসেন অভিযুক্ত কর্মচারী মামুনকে নির্দেশ দেন এরপর থেকে শুধু লাঞ্ছিত নয়, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে হবে।

এরপর হাসপাতালের পরিচালক ও রিপ্রেজেনটেটিভদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।রিপ্রেজেনটেটিভদের সংগঠন ফারিয়ার একাধিক সদস্য জানান, রমজান মাসের শেষ সপ্তাহে হাসপাতালের প্রায় দেড় হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ইফতার করানোর জন্য ফারিয়ার নেতাদের কাছে আবদার করেছিলেন পরিচালক।ফারিয়ার নেতারা এই আবদার প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে হাসপাতালের পরিচালক কর্মচারীদের দিয়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হয়রানি করে আসছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় স্কয়ার কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিকে লাঞ্ছিত ও স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে নিষেধ করেছেন।স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগের চিকিৎসক ফালাহ আলদ্বীনকে হাসপাতালের প্রধান ফটকে নামিয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছিলেন স্কয়ার কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মো. মেজবা উদ্দিন।

ওই সময় মো. মেজবা উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যেতে উদ্যত হন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মামুন। একপর্যায়ে মেজবা উদ্দিনের শার্টের কলার ধরে টানাটানি এবং গালিগালাজ করেন কর্মচারী মামুন।

আশপাশে উপস্থিত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক এসএম বাকীর হোসেনের কাছে রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংগঠন ফারিয়ার নেতারা বিচার দিলে উল্টো অভিযুক্ত কর্মচারীর পক্ষ নেন। সেই সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক কর্মচারীকে নির্দেশ দেন এরপর থেকে শুধু লাঞ্ছিত নয়, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD