শিক্ষক যখন চাঁদাবাজ ! Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শিক্ষক যখন চাঁদাবাজ !

শিক্ষক যখন চাঁদাবাজ !




এম. লোকমান হোসাঈন ॥ মনিরের শিক্ষাকতার আড়ালে চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল সদর উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন আন্দার মানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ওরফে চাঁদাবাজ মনির মাস্টারের বিরুদ্ধে এমন চঞ্চ্যালকর তথ্য বেড়ী আসে দৈনিক সময়ের বার্তা’র অনুসন্ধানে।

মেহেন্দিঞ্জ আন্দার মানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি, চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজিসহ নানান দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ওই পদটি ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ পঙ্কজ নাথের প্রভাব দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নেন মনির। অফিস ঠিকমত না করলেও কাগজ-কলমে ঠিকই নিয়মিত দেখাচ্ছে মনির।

এদিকে সরকারী চাকুরী করে ঠিকাদারীর কাজও করছেন তিনি। ২০১৭ সালে বরিশাল সদর উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের ১নং আন্দারমানিক ইউনিয়ন ৭ নং মধ্যভংগা গ্রামে জিপিএস (রাস্তার সিরিয়াল নং বিপি ৫১৫) এর রাস্তাটি প্রায় ৫ কিলোমিটার একটি রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ এমডিএসপি প্রজেক্টের রাস্তার কাজটি এলজিডি’র মাধ্যমে পায় নাভানা কনেকট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নাভানা’র কাছ থেকে রাস্তার পাশে থাকা খালের দু’পাশের বেরী বাঁধের কাজের দায়িত্ব নেন “জে এন্ড জে এন্টারপ্রাইজ” নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার মনির ওরফে চাঁদাবাজ মনির মাস্টার।

সরেজমিনে দেখা যায় মনিরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “জে এন্ড জে এন্টারপ্রাইজ” নামমাত্র বেরী বাঁধের কারণে পিলার পোতার দায়িত্বে থাকা অপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পিলার পোতাকালীন হঠাৎ ১২ জুন ওই বেরী ভেঙ্গে যায়। বেরী বাঁধের এ পাশে থাকা চলমান নির্মাণাধীণ কার্যক্রমের যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পাইলিং ঠিকাদার লিটন সাংবাদিকদের জানান, তার ১০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পাইলিং ঠিকাদার লিটন আরো জানান, গতবছর পাইলিং পোতার সময় মনির তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথ্যয় কাজ

করতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করেন। একপর্যায় লিটন বাধ্য হয়ে মুলাদীর পূবালী ব্যাংক লিমিটেডে মনিরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “জে এন্ড জে এন্টারপ্রাইজ” এর অনুকূলে ২০১৭ সালের মে মাসের ২৭ তারিখ ৫০হাজার এবং একই মাসের ৩১ তারিখ ৭০ হাজার মোট ১লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দেন মনির মাস্টারকে। সরকারী চাকুরীকালীন সময় কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা ব্যবসা করতে পারবে কি না সে বিষয় তিনি কিছু জানেন না বলে দাবী করেন “জে এন্ড জে এন্টারপ্রাইজ” এর প্রোপাইটার মনির মাস্টার। এছাড়া চাঁদাবাজী সহ অন্যান্য দুর্নীতির বিষয় জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি। সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, শুধু সরকারী স্কুলের শিক্ষক নয়।

সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও চাকুরী কালীন সময় কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকার বিধান নাই। যদি কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। সরকারী বিধিমোতাবেক আইনের আওয়াতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে বলে এই কর্মকর্তা জানান। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা জানান, শিক্ষক যদি টেন্ডারবাজি, চাদাবাজিসহ এরকম দুর্নীতির মধ্যে জড়িয়ে পরেন, তাহলে তার দ্বারা ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে কিভাবে?

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD