মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক,পৌর মেয়র আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন খান বলেন, যে থালে খায়, সে থালা ফুটো করাকে বলা হয় বিশ্বাসঘাতক। এমনই কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা’র নামধারী ও মুখশধারী কিছু নেতাকর্মী।
এদেরকে বেইমান আর মোনাফেক আখ্যা দিয়ে বলেন, সাংগঠনিকভাবে ভাবে এদেরকে বয়কট করা হবে। নৌকার বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন,নৌকার বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঘোড়া ও আনারস মার্কার সমর্থণ কারীদের সাংগঠনিকভাবে শুধু বয়কটই নয় এদেরকে পর্যায়ক্রমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কামাল খান বলেন যারা নৌকার বিরোধিতা করে, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মামলা হামলা করেছে তাদের সাথে কোন প্রকার আপোষ নেই। তাদেরকে সাথে নিয়ে রাজনৈতিক এবং দলীয় কোন কর্মকান্ডে উপস্থিত না থাকারও কথা বলেন তিনি।
এরা দলের এবং আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই মোনাফেকরা দলের সাথে বারবার বেইমানি করে একের পর এক নৌকা ডুবিয়ে যাচ্ছেন। এদের কাছে নৌকা নিরাপদ নয়, এখনই সময় এসেছে নৌকা বিরোধীদের বয়কটের। গতকাল সন্ধ্যা দলীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসকল কথা বলেন।
এক প্রসঙ্গ তিনি বলেন, বিগত দিনে ওই মুনাফেকগুলো ৭টি ইউপি এবং উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে নৌকা ডুবিয়েছে।
এছাড়াও সদ্য নির্বাচন স্থগিত হওয়া উলানিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা এবং রক্তাক্ত জনপদ সৃষ্টি করছেন।
এমনকি সদ্য অনুষ্ঠিত মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে ইসলামী আন্দোলন’র হাত পাখার সমর্থন করেন।
একাধিক ওয়ার্ডে বিএনপি’র শক্ত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও হাতপাখার প্রার্থী ব্যাপক ভোট পেয়েছে। নৌকার সাথে দ্বিতীয় হয়েছে হাতপাখা এসব আমাদের দলের কিছু বেইমান ও মোনাফেকদের ষড়যন্ত্রের কারণ বলে মনে করেন তিনি।
Leave a Reply