মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: মহাসড়কে তীব্র যানজট। যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল। একটা বাস-ট্রাকও নড়ছে না। দেখা মিললো না কোনো ট্রাফিক পুলিশেরও। অথচ রাস্তার ধারেই পুলিশ বক্স। সেখানে দিব্যি ঘুমোচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক কর্মকর্তা। যেনো ঘুমোনোই তার কাজ।সোমবার (০৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, পুলিশ বক্সের ভেতরে দুপুরের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আবেদ খান। তখন মাঠের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান তার অধীনস্থ ট্রাফিক পুলিশের অন্য সদস্যরাও। ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
এ সময় সাংবাদিকরা ওই ট্রফিক পুলিশের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ঘুম থেকে উঠে পুলিশ বক্স থেকে বাইরে চলে যান। আর ফিরে আসেননি।
স্থানীয়রা জানান, সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা আবেদ খান মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি রাখার সুবিধা দিয়ে এক এক করে প্রতিটি গাড়িতে যাত্রী উঠানোর সুযোগ করে দেন। এজন্য বিভিন্ন পরিবহন থেকে মোটা অংকের টাকাও নিয়ে থাকেন।
বাসচালকরা অভিযোগ করেন, এভাবেই বিভিন্ন যানবাহনকে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদার বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা দেয়। ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহনকে কৃত্রিম যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে জানতে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা (টিআই) আবেদ খানের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
Leave a Reply