বৈশাখী মেলাকে ঘিরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সহ ১০ টি উপজেলার মৃৎশিল্পীরা মহাব্যস্ত Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বৈশাখী মেলাকে ঘিরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সহ ১০ টি উপজেলার মৃৎশিল্পীরা মহাব্যস্ত

বৈশাখী মেলাকে ঘিরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সহ ১০ টি উপজেলার মৃৎশিল্পীরা মহাব্যস্ত




মোঃ মাসুদ সরদার গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ হাতছানি দিচ্ছে বাংলা নতুন বছর। আর কয়েকদিন পরেই (১৪ এপ্রিল) নতুন বছরের নবযাত্রা শুরু। বর্ষবরণে বাঙালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বরিশাল জেলার দশটি উপজেলায় আয়োজন করা হয় দেড় শতাধিক বৈশাখী মেলার। এরমধ্যে কয়েকটি মেলা চলে মাসব্যাপী। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এসব মেলা উপলক্ষ্যে এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলার কুমারপাড়ার মৃৎশিল্পীরা।সরেজমিনে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়মগড়া, গৌরনদীর টরকী বন্দর সংলগ্ন পালপাড়া ও বিল্বগ্রামের কুমারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, দম ফেলারও সময় নেই ওইসব পাড়ার শিল্পীদের। জেলার এক সময়ের সর্ববৃহৎ ও প্রায় দু’শ বছরের পুরনো বিল্বগ্রামের কুমারপাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের নারী-পুরুষ সকলেই এখন মহাব্যস্ত। আর কয়েকদিন পরেই বৈশাখী মেলা। শৈল্পিক নিপুণ্যতায় তারা তৈরি করছেন-কলমদানি, ওয়ালটপ, দড়ির পট, থিনপট, লাঠি, পাতাসহ ঘরের শোভাবর্ধনের ৬০ প্রকারের তৈজসপত্র ও শোপিস। মাটি দিয়ে এসব তৈজসপত্র ও শোপিস ছাড়াও শিশুদের নানা খেলনা তৈরীর পর রোদে শুকানো, রং করা, প্যাকিংয়ের কাজ সাধারণত বাড়ির নারী সদস্যরাই করে থাকেন।ওই পাড়ার বাসিন্দা শোভা রাণী পাল বলেন, আগে এ শিল্পের প্রচুর কদর ছিলো। বিক্রির পরিমানও ছিলো অনেক। বর্তমানে প্লাষ্টিক সামগ্রীর ব্যাপকতার কারণে মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদ দিয়ে এখন শুধু তারা বৈশাখের মাসব্যাপী মেলাউপলক্ষে মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী তৈরীর কাজ করছেন।

বরমগড়া গ্রামের শ্যামল কুমার পাল জানান, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, শোপিস ও খেলনা তৈরীর জন্য এঁটেল মাটির প্রয়োজন হয়। যা তিনি পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার টরকী নদীবন্দর থেকে ক্রয় করেন। বর্তমানে মাটির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতি ট্রলার মাটি সাত থেকে আট হাজার টাকায় ক্রয় করলেও এখন তা ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। যা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার পিস তৈজসপত্র ও শোপিস তৈরী হয়। যার বাজার মূল্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, দেশ-বিদেশে মাটির তৈরী এসব তৈজসপত্র ও শোপিসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বরিশালসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মাটির তৈরী এসব সামগ্রী জার্মান, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। মৃৎশিল্পীদের দাবি, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বেকার জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে তারা কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মৃত্তিকা শিল্প থেকে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সম্ভব হবেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD