বাবুগঞ্জে ধরাছোঁয়ার বাইরে চেয়ারম্যান Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বাবুগঞ্জে ধরাছোঁয়ার বাইরে চেয়ারম্যান

বাবুগঞ্জে ধরাছোঁয়ার বাইরে চেয়ারম্যান




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল সরকারি চাল চুরি ও আত্মসাৎ নিয়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। সরকারের নির্দেশে ইতোমধ্যে জেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ২ ইউপি সদস্যকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাড়ি থেকে ১৮৪ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার হলেও রহস্যজনক কারণে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে। যদিও র‌্যাব-৮ ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলমের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাৎ অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, পালিয়ে থাকা দুর্দান্ত প্রভাবশালী এ চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজস থাকায় ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধারের প্রতিবেদনই পাঠাননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারি বিভাগের উপ পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাল নিয়ে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেহেন্দীগঞ্জের ১জন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বানারীপাড়ার এক আ’লীগ নেতাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বরখাস্ত হয়েছে বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের ২ ইউপি সদস্য। তবে কেদারপুরের ইউপির চেয়ারম্যানের বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে চাল উদ্ধারের ঘটনায় পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট পাননি। পেলেই ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইদ্রিস কবিরাজ বলেন, তার এলাকা থেকেই চেয়ারম্যানের ভবনে গত ১৬ এপ্রিল র‌্যাব ১৮৪ বস্তা সরকারী চাল উদ্ধার করেছে। তিনি বর্তমানে পলাতক। চেয়ারম্যানের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোন সম্পর্ক ছিল না। তার নির্দেশেই জনগণকে ঠকিয়ে চাল কম দেয়া হত। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী হতাশ।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান নুরে আলম এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে, ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে।। সন্ধ্যা, সুগন্ধা, আড়িয়াল খা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হাই স্কুল ও কলেজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এরপরও একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বার বার পাড় পেয়ে যাচ্ছে তিনি।

বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল বলেন, কেদারপুরের চেয়ারম্যান উপজেলা আ. লীগের সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। তকে শুনেছি ইউএনও শাস্তিমুলক ব্যবস্থার জন্য কোন প্রতিবেদন পাঠাননি। সরকার চাল চুরি রোধে কঠোর। কিন্তু বাড়ি থেকে ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হলেও কেন এ বিষয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়নি তা নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

এব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কোন বিষয় নয়। নুরে আলম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে। আপনি এ বিষয়ে প্রশাসনিক কি ব্যবস্থা নিয়েছেন এ প্রসঙ্গে ইউএনও সুজিৎ বলেন, তিনি কি ব্যবস্থা নিবেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা ও বালু কেটে নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বালুমহলের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট চলমান।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD