বরিশালে সমাপনী পরীক্ষার নামে টাকা আত্মসাত Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালে সমাপনী পরীক্ষার নামে টাকা আত্মসাত

বরিশালে সমাপনী পরীক্ষার নামে টাকা আত্মসাত




হিজলা প্রতিনিধি:চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শেষ হওয়া সমাপনী পরীক্ষার নামে বরিশালের হিজলা উপজেলার আনন্দ স্কুলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকগন টাকা আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পত্রও জমা দিয়েছেন হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার এর হাতে। তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকদের।

অভিভাবকগন তাদের অভিযোগে বলেন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের হাতে না দিয়ে সমাপনী পরীক্ষার খরচ হিসেবে দেখানো হয়েছে। আবার কেউ অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষা শেষে পিকনিক হবে বলে ২০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। মূল শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ভাড়া করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করানো হয়েছে। এ ভাবে নানান অভিযোগে দেখা যায় কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।

হিজলা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর সমপানী পরীক্ষায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ছিল ২৯৪৭ জন, আনন্দ স্কুলের ১২১৫ জন এবং ইবতেদায়ী ২৭১ জন। মোট ১২ টি কেন্দ্রের ১১ টি কেন্দ্রের সমাপনী পরীক্ষায় আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীগন অংশগ্রহন করেছে। শুধু মাত্র বদরটুনী কেন্দ্র ছাড়া। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আ: গাফফার জানান, প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০ টাকা করে কেন্দ্র খরচ নেওয়া হয় এবং সেটি ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। তবে আনন্দ স্কুলের বাড়তি টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। আর আনন্দ স্কুলের সব দায়িত্ব টিসির উপরে ন্যস্ত।

এদিকে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে টিসি আলতাব হোসেন নিজেকে সম্পূর্ন নির্দোশ দাবি করেন। তবে যদি কোন শিক্ষক এর সাথে যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোপন সূত্রে আরো জনা যায়, কেন্দ্র ভেদে কেন্দ্র সচিবকেও ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি কেন্দ্র খরচ দিতে হয়েছে। সেই টাকাও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। ঝরে পরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মুখি করা তো দূরে থাক আনন্দ স্কুল নিয়ে বানিজ্যে মেতে উঠেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনেক আগে থেকেই। শিক্ষার্থীদের নিয়ে আর বানিজ্য নয় তারা তাদের প্রাপ্ত টাকা ফিরে পাক এমনটাই দাবি আনন্দ স্কুলের অভিভাবদের।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD