বরিশালে লিমা'র মৃত্যু নিয়ে রহস্য Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালে লিমা’র মৃত্যু নিয়ে রহস্য

বরিশালে লিমা’র মৃত্যু নিয়ে রহস্য




থানা প্রতিনিধি।।  টঙ্গীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় স্বামীর উপস্থিতিতে গৃহবধূ লিমার মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। লিমার মৃত্যুটা স্বাভাবিক ছিলো না, তাকে তার স্বামী মিজান সরদার মেরে ফেলেছে বলে দাবি করে লিমার পরিবার। বরিশালের হিজলা উপজেলার খুন্না গোবিন্দপুর এলাকার সেকান্দার রাড়ীর মেয়ে লিমার সাথে বড়জালিয়ার ৫ নং ওয়ার্ডের কাসেম সরদারের ছেলে মিজান সরদারের প্রায় তিন বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। এই দম্পতির জুবায়ের নামে দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। মিজান ঢাকায় একটি পলিথিন কারখানার শ্রমিক। সে জন্য কামারপাড়ায় ভাড়া বাসায় তারা থাকতো।

বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য মিজান প্রায়ই মারধর করতো লিমাকে, শাশুড়িও ছেলের বউকে পছন্দ করতো না, এটা লিমার পরিবার জানতো। লিমার মৃত্যু নিয়ে কথা হয় লিমার পরিবারের সদস্যদের সাথে। লিমার মা এবং বড় বোন জেসমিন, ইনিউজ৭১ কে জানায়, ৪ জুন মঙ্গলবার ২৯ রমজান সকালে, লিমা তার স্বামী মিজান এবং সন্তান তাদের কামারপাড়া বাসা থেকে বের হয়ে ঈদের কেনাকাটা করে তেজগাঁও এলাকায় শ্বশুরের বাসায় যায়। যাওয়ার পরে শাশুড়ি তার নাতি জুবায়েরের হাতে ১০০ টাকা দেয়। আর এই ১০০ টাকাই লিমার কাল হয়ে দাড়ায়। শাশুড়ি কেনো ১০০ টাকা দিলেন, এ নিয়ে লিমার মন খারাপ হয় এবং স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় ঐখানেই। তাদের এই ঝগড়ার ঘটনা দুপুরে লিমা মুবাইলে তার মাকে এবং বড় বোন জেসমিনকে জানায়।

কিছুক্ষণ পরে মিজানও মোবাইলে লিমার মা এবং বোনকে জানায়, যদি লিমা তার সাথে খারাপ আচরণ করে তাহলে মেরে মুখ থেকে রক্ত বের করে দিবে এমন হুমকিও দেয় সে। তখন মোবাইলে মিজানকে সান্ত হতে বলেন লিমার মা এবং বোন। তারা মিজানকে বলে, ঈদে লিমা বাড়িতে এলে তারা বিচার করবে। তুমি মাথা গরম কোরো না। ঐদিন বিকেলে তারা জানতে পারেন লিমার মৃত্যু হয়েছে। লিমার পরিবারের দাবি, অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দু’জনকে একসাথে বাসায় ঢুকেছে দেখেছে। তার কিছুক্ষণ পরে লিমার মৃত্যু হয়। আর লিমার মৃত্যুর জন্য মিজানই দোষী। তুরাগ থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে। ময়না তদন্ত শেষে লিমার লাশ হিজলায় এনে দাফন করা হয়েছে। লিমার পরিবার আরো জানায়, লিমার জানাযা এবং দাফনের সময় মিজান অনুপস্থিত ছিলো। আর সন্তানটাকে তার কাছেই রেখে দিয়েছে। তবে এ রহস্যময় মৃত্যুর জন্য এখনো কাউকেই আটক করেনি তুরাগ থানার পুলিশ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD