বরিশালে নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে গেল গৃহকর্মী Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালে নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে গেল গৃহকর্মী

বরিশালে নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে গেল গৃহকর্মী

বরিশালে নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে গেল গৃহকর্মী




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল নগরীর ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনে থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে মিম (১৭) নামের নির্যাতনের শিকার এক কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল।

 

 

কাঁদতে দেখে ওই কিশোরীকে নিজের বাসায় নিয়ে যান আরিফ মোল্লা নামের এক রিকশাচালক। শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন আরিফ মোল্লা।

 

 

 

পুলিশ জানিয়েছে, মিমের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার তুলসিপুর খ্রিস্টান কলোনিতে। তার বাবার নাম অরেন, মা মনিকা। মিম যখন ছোট তখন তারা দুজনই মারা যান। এরপর চাচা স্বপন এবং চাচি স্বপ্নার কাছে সে বড় হয়।

 

 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর আকিমুল ইসলাম বর্তমানে বরিশাল নগরীর কলেজ রো সড়কে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজের চিফ অপারেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে কর্মরত আছেন। ওই রোডেই তার বাসা। সেখানেই গৃহপরিচারিকার কাজ করতো মিম।

 

 

মিম জানায়, শৈশবে তার মা-বাবা মারা গেছেন। এরপর চাচা-চাচির সংসারে থাকতো। সাত বছর আগে তাকে আকিমুল ইসলামের বাসায় কাজে দেওয়া হয়। কাজে সামান্য ভুল করলে তাকে মারধর করা হতো। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হতো না। বাসার মধ্যে আটকে রেখে প্রায় দিনই তাকে মারধর করা হতো। গলা টিপে ধরা হতো। আকিমুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শিমু আক্তার দু’জনই তাকে মারধর করতেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে দাগ পড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ওই বাসায় টিভি সারানোর মেকানিক আসেন। ওই সময় সুযোগে পেয়ে সে পালিয়ে আসে।

 

 

মিম জানায় তাকে সময় বেঁধে দেওয়া হতো বাথরুম পরিস্কার থেকে শুরু করে অনান্য কাজ করার জন্য। এছাড়াও মেজরের সাত ও তিন বছরের দুই ছেলের মধ্যে এক শিশু প্রতিবন্ধী। তাকে দেখভালের দায়িত্ব পালন করতে হতো। এরপরও তাকে নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে মেজর হাকিম ও তার স্ত্রী শিমু মারধর করতো। এতে করে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

 

 

তবে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর আকিমুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিম যেসব অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তার কাজে কোনো মন ছিল না। তাকে বারবার বলেও কোনো কাজ করানো যেতো না। আমার সন্তানদের সঙ্গে সে খারাপ আচরণ করতো। কয়েকবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিল মেয়েটি। গতকাল সে পালাতে সক্ষম হয়। পালিয়ে গিয়ে এখন মারধরসহ নানা মিথ্যা কথা বলছে।

 

 

মিমকে নিজের বাসায় নিয়ে যাওয়া রিকশাচালক আরিফ মোল্লা বলেন, মেয়েটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। তিনি কাছে গেলে বাঁচানোর আকুতি জানায়। পরে তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যান।

 

 

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, মিমের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে মিমকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD