শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
সাইদুর রহমান পান্থ॥ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অর্ধকোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। এমনকি ইলিশা নদীর ভাঙনে যে তাদের সম্পত্তি বিলীন হয়ে গেছে তাও জানেন না তারা।
এ দিকে এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যুতের খুঁটি ও তার সংযোগ করা হলেও লাইন দেয়া হয়নি। তবে অনেকের কাছ থেকে মিটারের জন্য টাকা নিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুতের লাইন দেয়ার আগেই তাদের খুঁটিসহ তার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুকুন্দিচর ও গোলদারবাড়ি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
জানা গেছে, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুকুন্দিচরের হাট নামক স্থান থেকে গোলদারবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার স্থানে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগের জন্য লাইন টানা হয় ও খুঁটি বসানো হয়েছে। এক-দেড় বছর আগে এই খুঁটি স্থাপন করা হলেও সংযোগ দিতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ।
তবে অনেকের কাছ থেকে মিটারের জন্য টাকাও নিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের আগেই ইলিশা নদীর ভাঙনে ৮ থেকে ১০টি খুঁটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে আরও ১০টি খুঁটি নদীতে চলে যাবে।
কিন্তু এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই বিদ্যুৎ বিভাগের। একদিন এসেও দেখেননি ভাঙনকবলিত এলাকা। এ দিকে বিদ্যুতের খুঁটি নদীতে চলে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, পল্লী বিদুতের খুঁটি ও তার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলেও সংযোগ দেয়নি। প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ একদিন খোঁজও নেয়নি। পল্লী বিদ্যুৎকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করছেন না।
পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সাইদুল মুর্সালিন বলেন, আমি ৩ মাস হয়েছে এই উপজেলায় এসেছি। এসেই করোনা পরিস্থিতিতে পড়েছি। তাই সব ভালোভাবে বলতে পারব না। তবে শুনেছি আমাদের কিছু বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পাশাপাশি আরও কিছু খুঁটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যখন সমস্যা হবে, তাৎক্ষণিক খুঁটি সরিয়ে আনা হবে।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় রায় বলেন, আমি এখানে ১ মাস হয়েছে এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিযুস চন্দ্র দে বলেন, বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা জানেন না বলে এড়িয়ে যেতে পারেন না। তারা ওই চেয়ারে বসেছে এটা তাদের জানার দরকার ছিল। আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে গত ১৪ জুন থেকে আমি অসুস্থ। পরে করোনা পজিটিভ এসেছে। যার কারণে মুভমেন্ট করতে পারছি না। তবে আরও ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply